প্রারম্ভ: বাজেকদমতলা ঘাটে গঙ্গারতি। বৃহস্পতিবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
বাজেকদমতলা ঘাটে গঙ্গারতির উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে দেবী গঙ্গার মূর্তি উদ্বোধন করেন। সন্ধ্যায় শাঁখ বাজিয়ে গঙ্গারতির সূচনা করেন তিনি।
গঙ্গারতি দেখার জন্য ঘাটে দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থা থাকছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এ দিন সাজানো হয়েছিল গঙ্গার পাড়। পশ্চিম পাড়ে, হাওড়ার দিকে লেজ়ার শোয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল এ দিন। তবে, এই ব্যবস্থা অন্য দিন থাকবে না। বাজেকদমতলা ঘাটের পাড়ে আলপনা এঁকে, বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের টব রেখে সাজানো হয়েছিল। এ দিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিদিন আরতি শেষ হলে পুজোর যাবতীয় সামগ্রী গঙ্গার পাড় থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। এই উপলক্ষে বাজেকদমতলা ঘাট এলইডি আলো দিয়ে সাজিয়েছে কলকাতা পুরসভার আলো বিভাগ।
মেয়র পারিষদ (আলো) সন্দীপরঞ্জন বক্সী জানান, এলইডি আলো ব্যবহার করার জন্য বিদ্যুতের খরচে অনেক সাশ্রয় হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, রোজ সন্ধ্যায় গঙ্গারতি চলাকালীন কলকাতা পুলিশ এবং পুরসভার নিরাপত্তারক্ষীরা থাকবেন। এটির পরিচালনার ভার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেওয়া হচ্ছে। গ্রীষ্মে সন্ধ্যা ৬টা ও শীতে সন্ধ্যা ৭টায় আরতি শুরু হবে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, গঙ্গারতির কারণে ওই এলাকা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এ দিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ছাড়াও একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, মেয়র পারিষদ ও পুরপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কাশীতে গিয়ে দেখেছিলাম গঙ্গায় আরতি করতে। তখনই ববিকে কলকাতায় গঙ্গারতি শুরু করার জন্য জায়গা খুঁজতে বলেছিলাম। বাংলায় অনেক কিছু হয়েছে। এ বার এখানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আরতি হবে। কেবল দুর্গাপুজোর বিসর্জনের কয়েকটি দিন আরতি বন্ধ থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy