কলকাতার মেট্রো রেলের লাইনে আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে বারবারই প্রশ্ন ওঠে। এই ধরনের কিছু ঘটলে প্রতিবারই মেট্রো কর্তৃপক্ষকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এ বার কলকাতার মেট্রোয় আত্মহত্যার ঘটনা রুখতে সংসদে প্রশ্ন তুললেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়। বুধবার লোকসভার অধিবেশনের জ়িরো আওয়ারে মালাদেবী বলেন, ‘‘আমার এলাকার একটি বড় অংশ দিয়ে মেট্রো চলে। দেশের মধ্যে প্রথম মেট্রো রেল কলকাতাতেই চালু হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে। মেট্রোর লাইনের পাশেই বিদ্যুৎবাহী লাইন। ফলে প্রায়ই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।’’ ১৯৮৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত মোট ১৬৩ জন মেট্রোয় আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর।
মালাদেবীর বক্তব্য, দিল্লি-সহ একাধিক শহরে কলকাতার অনেক পরে মেট্রো চালু হয়েছে। তাই আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা রয়েছে ওই সব মেট্রোয়। যেমন, দিল্লিতে মেট্রোর প্ল্যাটফর্মের ধারে স্বয়ংক্রিয় দরজা (স্ক্রিনডোর) বসানো রয়েছে। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢোকার পরে কামরার দরজা খোলার পরে স্ক্রিনডোর খোলে। তখনই প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে পারেন। ফলে কারও পক্ষেই লাইনে ঝাঁপ দেওয়া বা লাইনের ধারে যাওয়া সম্ভব নয়। তা ছাড়া, দিল্লি মেট্রোয় বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে ট্রেনের উপরে। এর ফলে সেখানে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে না বললেই চলে।
কিন্তু দেশের প্রথম মেট্রো হওয়ায় কলকাতায় সে সব আধুনিক ব্যবস্থা নেই। মালাদেবী জানান, লোকসভায় প্রশ্নের মাধ্যমে বিষয়টি রেল মন্ত্রকের নজরে আনার চেষ্টা করেছেন তিনি। দিল্লির মতো কলকাতা মেট্রোর প্ল্যাটফর্মেও স্ক্রিনডোর লাগানোর আবেদন জানান তিনি। তাতে আত্মহত্যার ঘটনা রোখা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy