সারিবদ্ধ: ক্যানাল ইস্ট রোড জুড়ে পরপর দাঁড়িয়ে লরি। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের সমস্যা মোকাবিলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই টালার পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে চায় পরিবহণ দফতর। শুক্রবার ময়দান তাঁবুতে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘টালার সমস্যা সামাল দিতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে বেলগাছিয়ায় বিশেষ কন্ট্রোল রুমও খোলা হচ্ছে।’’
পরিবহণমন্ত্রী জানান, সমস্যা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চক্ররেল, মেট্রো, জলপথ পরিবহণ-সহ বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে এ দিন বৈঠক হয়েছে। ডানলপ, হাওড়া, পাইকপাড়া, বেলগাছিয়া-সহ বিভিন্ন রুটে পরিবহণ দফতর এখন ২৮টি ৩৪ আসনের বাস চালাচ্ছে। ওই সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ করা হবে। হাওড়া এবং মিলেনিয়াম পার্ক জেটি থেকে কুঠিঘাট পর্যন্ত (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) লঞ্চ চালানো হবে। আপাতত দু’টি ভেসেল ওই পথে চললেও ওই সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ করা হবে। ব্যারাকপুর থেকে বি বা দী বাগের মধ্যে ট্রেনের সংখ্যা ইতিমধ্যেই বাড়িয়েছে চক্ররেল। নোয়াপাড়া থেকে মেট্রোর সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে বলে খবর। এ ছাড়াও ব্যারাকপুর কমিশনারেট ওই
এলাকায় ২০টি অটো রুটকে চিহ্নিত করেছে। ওই সব রুটে অটো যাতে নিয়মিত চলে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন ছাড়াও কাছাকাছি গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডগুলিকে জুড়তে বিশেষ ভূমিকা নেবে রুটগুলি। তবে কোনও ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। বেসরকারি অ্যাপ নির্ভর বাসকেও কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে খবর। বাস এবং অটো চলার ক্ষেত্রে কোথাও অনিয়ম হচ্ছে কি না, দেখার জন্য ১০ জন মোটর ভেহিকলস্ ইনস্পেক্টরের একটি দল কাজ করবে। পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে পরিবর্তিত বাসরুটের কথা জানানোর ব্যবস্থা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy