ফাইল চিত্র
অবশেষে সেই পরিচারিকাকে তাঁর ভাড়া বাড়িতেই খুঁজে পাওয়া গেল। ওই বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরত্বে থাকা আর একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধাকে গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকতে বলেছে হাসপাতাল। সেই বৃদ্ধার বাড়ির কাছাকাছিই বিধাননগর পুরসভা ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে শনিবার ওই পরিচারিকার হদিস পাওয়া যায়। তবে দু’জনকেই রাতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নিউ টাউন কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মল দত্ত।
বিধাননগর পুর এলাকার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন মহিলা। সেই বাড়ির এক প্রৌঢ় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি। তার পরেই পুরসভার তরফে ওই মহিলাকে গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্ত শুক্রবার জানিয়েছিলেন, ওই মহিলাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও শনিবার তিনি জানান, মহিলাকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
এ দিন ওই বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়। তবে কাউন্সিলরের অভিযোগ, ‘‘ওই মহিলাকে ঘরে থাকতে বলা হলেও তিনি সে কথায় আমল দিতে চাননি। পুর প্রশাসন ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য আমি অনেক ক্ষণ ওই এলাকায় বসেছিলাম।’’
শনিবার সকালে বিধাননগর পুর এলাকার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছবিটা এমনই। আবার অন্য প্রান্তে দেখা গেল এ দিন বিকেলে রাস্তায় নেমে প্রচার করছেন খোদ মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘সল্টলেকে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও একাংশের হুঁশ ফিরছে না। তাই প্রচারে জোর দিয়েছি।’’ আগামী সপ্তাহে প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরেরা সচেতনতার প্রচার করবেন বলেও পুরসভা সূত্রে খবর।
পুর প্রতিনিধিদের অভিযোগ, সকালে প্রাতর্ভ্রমণ, বাজার, রেশন দোকান তো রয়েছেই, বিকেল হলেই আবার অনেকে বৈকালিক ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ছেন। বিধাননগর পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউন ভাঙায় ১৬ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পরে আরও কড়া পদক্ষেপ করা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy