নিজস্ব চিত্র।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে এনে গত ফেব্রুয়ারিতে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন মহাশ্বেতা চক্রবর্তী। বুধবার সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে ভারত সরকারের ‘অপারেশন গঙ্গা’র সেই অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরলেন অশোকনগরের এই পাইলট কন্যা।
ফোন এসেছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে। মহাশ্বেতা তখন ঘুমোচ্ছিলেন। বলা হয়, দু’ঘণ্টার মধ্যে তৈরি হয়ে বেরোতে হবে। গন্তব্য প্রথমে নয়াদিল্লি। সেখান থেকে ইস্তানবুল এবং তার পর পোল্যান্ড। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ‘অপারেশন গঙ্গা’য় শামিল হয়ে অসম্ভবকে কী ভাবে সম্ভব করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় সেই কথাই জানালেন মহাশ্বেতা।
বছর চব্বিশের এই পাইলটের কথায়, ‘‘ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু আমার মা-বাবা আমার শিখিয়েছেন, দায়িত্ব-কর্তব্য থেকে কখনও পালানো উচিত নয়। তা যতই কঠিন বা সহজ হোক না কেন।’’
বহু প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ইউক্রেনে আটকে পড়া অন্তত ৮০০ ভারতীয় পড়ুয়াদের সুস্থ এবং স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন মহাশ্বেতা। কিন্তু এই কাজের জন্য ‘নায়ক’ তকমা চাইছেন না তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ইউক্রেনে ওই সঙ্কটের মধ্যে যাঁরা প্রতি মুহূর্তে লড়ে গিয়েছেন, মাইলের পর মাইল হেঁটেছেন, নায়কের সম্মান তাঁদের প্রাপ্য।’’
সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মহাশ্বেতা তরুণ প্রজন্মের কাছে সত্যিই অনুপ্রেরণা।’’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেকনো ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর সিইও শঙ্কু বসু। তিনি বলেন, ‘‘ভয় না পাওয়াকে সাহসী হওয়া বলে না। বরং, ভয়কে জয় করার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সাহসিকতার পরিচয়। মহাশ্বেতা তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy