প্রতীকী ছবি।
সিবিএসই বা সিআইএসসিই, কোনও বোর্ডেরই দশম শ্রেণির পরীক্ষা হয়নি। পরীক্ষা না-হওয়ায় যে বিশেষ পদ্ধতিতে মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে, সেই মূল্যায়নের ফলফলও পরীক্ষার্থীরা হাতে পায়নি। কিন্তু তার আগেই দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করে ক্লাস শুরু করে দিয়েছে ওই দুই বোর্ডের অধীনস্থ প্রায় সব স্কুলই। এ দিকে, রাজ্যের সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত অধিকাংশ স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের মূল্যায়নের পদ্ধতি সবে জানানো হয়েছে। একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হওয়া তো দূর, এখনও ভর্তি প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি। অনেক পড়ুয়াই জানাচ্ছে, শুক্রবার সবে মূল্যায়ন পদ্ধতি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তার ভিত্তিতে ওই দুই পরীক্ষার ফল বেরিয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পরে ক্লাস যত দিনে শুরু হবে, তত দিনে পেরিয়ে যাবে বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময়। ফলত, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়ার জন্য সময় কম পাবে তারা। স্বভাবতই অন্য বোর্ডের পড়ুয়াদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে রাজ্য বোর্ডের পড়ুয়ারা।
সিবিএসই অনুমোদিত সাউথ পয়েন্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, তাঁদের স্কুলে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে মে মাস থেকে। স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি বলেন, “এ বারের দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের ছাত্রদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করে নিয়েছি। দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ওদের প্রভিশনাল ভর্তি নেওয়া হয়েছে। অন্য স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য খুব কম আসন থাকে। সেই ভর্তি প্রক্রিয়াও অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে অনেকটাই হয়ে গিয়েছে।’’ সিআইএসসিই বোর্ড অনুমোদিত রামমোহন মিশন হাইস্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস এবং ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহাও জানালেন, তাঁদের স্কুলেও একাদশ শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্য স্কুলের পড়ুয়ারা একাদশে ভর্তি হতে চাইলে তাঁদের অনলাইন পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
এর ঠিক বিপরীত চিত্র সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলির। হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত বলেন, “কবে থেকে একাদশে ভর্তি শুরু হবে, কবেই বা ক্লাস শুরু হবে— তা নিয়ে প্রচুর পড়ুয়া এবং অভিভাবক খোঁজ নিচ্ছেন। কিন্তু সরকারি বিজ্ঞপ্তি ছাড়া তো আমরা ভর্তি শুরু করতে পারি না।”
একাদশে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়নি বেলতলা গার্লস স্কুলেও। প্রধান শিক্ষিকা অজন্তা মুখোপাধ্যায় বলেন, “মূল্যায়নের ভিত্তিতে মাধ্যমিকের ফল না বেরোলে একাদশে ভর্তি কী ভাবে হবে? দ্রুত ফল বেরিয়ে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হওয়া দরকার।” সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা কিসের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নেব? সরকারি বিজ্ঞপ্তি না বেরোলে তো ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়।”
তবে ব্যতিক্রমও আছে। নব নালন্দা স্কুলের পড়ুয়ারা মধ্যশিক্ষা পর্যদের অধীন। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরিজিৎ মিত্র বলেন, “আমরা একাদশ শ্রেণিতে প্রভিশনাল ভর্তি নিয়ে নিয়েছি। অনলাইন ক্লাসও শুরু হয়েছে।’’
স্কুলে ক্লাস শুরু না হলেও কিছু পড়ুয়া অবশ্য বাড়িতেই একাদশ শ্রেণির পড়া ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। ওই পড়ুয়াদের বক্তব্য, একাদশ শ্রেণিতে তো তারা উঠে যাবেই। তাই আর সময় নষ্ট করতে চায় না। তবে ওই পড়ুয়ারা জানাচ্ছে, সিবিএসই এবং সিআইএসসিই বোর্ডের স্কুলগুলির মতো তাদের স্কুলেও একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়ে গেলে পড়াশোনায় অনেকটা সুবিধা হত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy