লালবাজার। ফাইল চিত্র।
লকডাউনের মধ্যেও যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগানে সমস্যা না-হয়, তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করছে লালবাজার। পাশাপাশি বাজারে সামাজিক দূরত্ব-বিধি বজায় রাখা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ওসিদের। পুলিশ সূত্রের খবর, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনকে কঠোরতম করতে বলা হয়েছে। রাস্তায় অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরি ও গাড়ি যাতে না-বেরোয়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলেছেন লালবাজারের কর্তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, যে এলাকাগুলি থেকে করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে এবং যে এলাকাগুলিকে আশঙ্কাজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে লকডাউনের নজরদারি কঠোরতম করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। লকডাউনের কড়াকড়িতে অনেকেই প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ নিয়ে চিন্তিত। লালবাজারের নির্দেশ, প্রয়োজনে হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করতে হবে। এলাকার প্রবীণ ও অসমর্থ নাগরিকদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘আগামী দু’সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই লকডাউনের কড়াকড়ি কঠোরতম করতেই হবে। ঘিঞ্জি এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত নজরদারি প্রয়োজন।’’
লকডাউন শুরুর পরে নাগরিকদের কেউ কেউ পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে ‘অতি সক্রিয়তা’র অভিযোগ তোলেন। লালবাজার সূত্রের খবর, নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কোথাও যাতে অমানবিক আচরণ না-করা হয়, সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে হাসি মুখে কড়া কথা বলতে হবে, কিন্তু লাঠিপেটা করা যাবে না। বিভিন্ন এলাকায় হিন্দি, বাংলা ও উর্দুতে মাইকে প্রচার চালাতে বলা হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ও নাকা তল্লাশি আগেই চলছিল। তার সংখ্যা ও সময় বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় থানা ও ট্র্যাফিক গার্ডকে যৌথ ভাবে নাকা তল্লাশি করতে বলেছেন পুলিশকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy