পুর এলাকার সঙ্গে যুক্ত করার পরে ২৪ বছর পার হয়ে গিয়েছে। মিউনিসিপ্যালিটি পুরোদস্তুর কর্পোরেশন হয়েছে। কিন্তু আজও বিধাননগরের সংযুক্ত এলাকার মানুষ পরিস্রুত পানীয় জল পেলেন না। জল বলতে ভূগর্ভের। তা-ও সব বাড়িতে পৌঁছয় না।
পুরকর্তাদের অবশ্য দাবি, জলপ্রকল্প তৈরি করে সেখান থেকে জল সরবরাহ করার প্রক্রিয়া চলছে। যদিও এখনও সংযুক্ত এলাকার জন্য ভূগর্ভে কোনও জলাধারই তৈরি হয়নি। ফলে সেই কাজ কবে শেষ হয়ে জল সরবরাহ শুরু হবে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন বাসিন্দারা। পুরকর্তাদের দাবি, পর্যায়ক্রমে সেই কাজ চলছে।
উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে তৎকালীন বিধাননগর পুরসভার সঙ্গে রাজারহাট ও ভাঙড় বিধানসভা এলাকার দু’টি অংশ যুক্ত করা হয়েছিল। পরে ২০১৫ সালে কর্পোরেশন তৈরি হয়। সে সময়েও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে, পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।
কিন্তু আজও সেই ভূগর্ভের জলই ভরসা। এক বছর বাদে পুর নির্বাচন। এক দিকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড, অন্য প্রান্তে ৩৫ এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড আজও বসে আছে জলের অপেক্ষায়। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি, রাস্তার ধারে একাধিক জায়গায় কল তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আগে কিছুই ছিল না। পর্যায়ক্রমে সেই কাজ চলছে। তবে নিউ টাউন জলপ্রকল্প থেকে জল চলে এলে মাটির তলার জল ব্যবহার করতে হবে না।’’
নিউ টাউন প্রকল্পের থেকে জল ধরে রাখার মতো জলাধারই এখনও তৈরি হয়নি। একই ছবি দেখা যাচ্ছে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডেও। স্থানীয় কাউন্সিলর জয়দেব নস্কর জানান, তাঁর ওয়ার্ডে অধিকাংশ বাড়িতেই পাইপলাইনের মাধ্যমে ভূগর্ভের জল সরবরাহ করা হয়। দীর্ঘদিনের পুরনো পাইপ অনেকটাই বুজে যাওয়ায় জলের সমস্যা রয়েছে। খোদ কাউন্সিলরের অভিযোগ, পাইপলাইনের উপরে বাড়ি তৈরি হয়েছে। এমনকি, নিকাশি নালার উপরেও বাড়ি উঠেছে। ফলে সেই পাইপ সংস্কার করাও দুরূহ। গরমে এক দিকে জলস্তর নেমে গিয়েছে। অন্য দিকে জলের পাইপ বুজে যাওয়ায় ভোগান্তি আজও মেটেনি।
৩৬ নম্বর ওয়ার্ডেও বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের ভরসা সেই মাটির তলার জল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিশ্রুতিই মিলল। কিন্তু কাজ হল না।
বিধাননগর পুরসভার এক কর্তা জানান, সংযুক্ত এলাকার উন্নয়নে কাজ আগেই শুরু হয়েছে। নিউ টাউন জলপ্রকল্প থেকে জল সরবরাহের প্রক্রিয়া শুরু হলেই পরিস্রুত পানীয় জলের অভাব দূর করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy