সোমবার লিভার ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনাসভায় উঠে এল সরকারি ও বেসরকারি স্তরের মাঝে এমন একটি সংগঠন বা সংস্থার থাকা প্রয়োজনের কথা। প্রতীকী ছবি।
সরকারি ও বেসরকারি স্তরের মাঝে এমন একটি সংগঠন বা সংস্থার থাকা প্রয়োজন, যারা জনকল্যাণে কাজ করবে। পুরোপুরি অনুদানভিত্তিক সেই কেন্দ্রগুলির চলার পথে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, গ্রহণযোগ্যতা কী ভাবে পরিচালিত হবে, সে দিকে নজর রাখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার লিভার ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনাসভায় উঠে এল সে কথা।
সংস্থার মুখ্য উপদেষ্টা, চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘সরকারের বাইরে, তাদের সহযোগী হিসাবে বহু সংস্থা বা সংগঠন লোকহিতে কাজ করে। ওই সব সংস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নের মূল ভিত্তি হল দান।’’ সেই সংস্থাগুলিকে বেশি করে এগিয়ে এসে সরকারের সহযোগী হয়ে চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার বার্তা দেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব মলয় দে। তিনি বলেন, ‘‘নন-কমিউনিকেবল ডিজ়িজ় গোপনে প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। আরও সচেতনতা প্রয়োজন। সরকারের পাশাপাশি লিভার ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থা এমন রোগ প্রতিরোধে কাজ করতে পারে।’’ মলয় আরও জানান, রাজ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ সরকারি হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল। অনেকে ভরসা করেন না সরকারি পরিষেবাকে। বেসরকারি হাসপাতালে তাঁরা ভাবেন, বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাই একটি তৃতীয় স্তর থাকা প্রয়োজন, যেখানে মানুষ উন্নত চিকিৎসা পাবেন। সেটি মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে তৈরি হলে হবে না।
আলোচনায় আমেরিকার বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ কর্তারা জানান, মুনাফার বাইরে গিয়ে মানবকল্যাণের কাজ কতটা হচ্ছে, তা নজরে রাখেন অনুদান প্রদানকারী। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী সর্বলোকানন্দ বলেন, ‘‘সেবামূলক কাজে প্রয়োজন সততা, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা। লিভার ফাউন্ডেশন এগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।’’ সোনারপুরের ওই সংস্থার সম্পাদক পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় জানান, মানুষের দানে আমেরিকাতেও গড়েছেন ফ্রেন্ডস অব লিভার ফাউন্ডেশন। সেই সংগঠন আফ্রিকায় হেপাটাইটিস-সি প্রতিরোধ কর্মসূচি শুরুর পরিকল্পনা করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy