ধর্মতলায় অনশনমঞ্চে বসে জুনিয়র ডাক্তারেরা। —নিজস্ব চিত্র।
জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দেবাশিস হালদার মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমাদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতেই আমাদের সিনিয়রেরা গণইস্তফার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু, আমরা শুনছি, তার পর থেকেই তাঁদের উপর প্রশাসনিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। যদি সত্যি তেমন কিছু হয়, তবে আমাদের আন্দোলন তীব্রতর হবে।’’
মঙ্গলবার আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতার স্মরণে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হবে। তার পর দুর্গাপুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে বিলি হবে চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থাকবে আরজি কর এবং জয়নগরের নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি। ষষ্ঠীতে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপে মণ্ডপে পরিক্রমা করবেন তাঁরা। মানুষের হাতে হাতে ছড়িয়ে দেবেন তাঁদের দাবির বার্তা। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘আরজি করের সিনিয়র চিকিৎসকদের গণইস্তফা আমাদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। এসএসকেএম এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তারেরাও ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। তাঁরাও গণইস্তফা দিতে পারেন। বড়দের এই পদক্ষেপ আমাদের সাহস জোগাচ্ছে।’’
সোমবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, ১০ তারিখের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজগুলির উন্নয়ন এবং সংস্কারমূলক সব কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়ে যাবে। সিসি ক্যামেরা বসানো থেকে ডিউটি রুম, শৌচাগার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ— চিকিৎসকদের দাবির মধ্যে যেগুলি আছে, তার সবই প্রায় শেষের পথে। মুখ্যসচিবের সেই কাজের খতিয়ান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁরা বলেন, ‘‘কাজের অগ্রগতি নিয়ে আমরা সন্দিহান।’’
শনিবার রাত থেকে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশনে’ বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। শনিবার প্রথমে ছ’জন চিকিৎসক অনশন শুরু করেছিলেন। রবিবার সেই অনশনে যোগ দেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। সেই অনশন ৮৪ ঘণ্টা পেরোল। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, এখনও সরকারের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy