কালীঘাট আছে কালীঘাটেই।
প্রতিবছরের মতো এবারেও শনিবার মা লক্ষ্মী রূপে দক্ষিণা কালীর পুজো হল কালীঘাটে। এদিন প্রথা মেনে প্রথমে অলক্ষ্মী পুজো করা হয়। পাটকাঠি জ্বালিয়ে মন্দির প্রদক্ষিণ করেন সেবায়েতরা। তারপর শুরু হল লক্ষ্মী পুজো। কালী পুজোর দিন লক্ষ্মী রূপে দক্ষিণা কালীর পুজো করাই কালীঘাট মন্দিরের রীতি। তাই রাতে নয়, বছরের পর বছর ধরে সন্ধ্যায় হয় দেবীর পুজো।
ঐতিহ্যবাহী এই মন্দির রয়েছে ৫১ পীঠস্থানের তালিকাতেও। সেবায়েতদের বিশ্বাস, এখানে পড়েছিল দেবীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল। সেই কারণেই ৫১ পীঠের তালিকায় কালীঘাটের নাম রয়েছে। তবে এবারের চিত্রটা বাকি বছরের থেকে আলাদা। কারণ, করোনা স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি। বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরতে হচ্ছে, মানতে হচ্ছে দূরত্ববিধিও। শুধু তাই নয়, মন্দির প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজার ট্যানেল। সেখানে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভক্তরা প্রবেশ করছেন মন্দিরে। তবে লোকের অভাব নেই।
এদিন সন্ধ্যা থেকেই কালীঘাটের ভক্তদের যে উৎসাহ দেখা গেল তাতে বলাই যায়, সংক্রমণের ভয়কে তোয়াক্কা না করেই সাধারণ মানুষ এসেছেন মন্দিরে। অনেকেই জানালেন মায়ের কাছে তাঁদের প্রার্থনা একটাই, দেশ থেকে করোনা প্রকোপ যেন দূর হয়। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা-ছ’টা নাগাদ প্রথমে অলক্ষ্মী পুজো হয়। তারপর শুরু হয় লক্ষ্মী পুজো। ততক্ষণে মন্দিরের বাইরে ভক্তদের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়ে গিয়েছে। অনেকে লাইন দেখে গেটের বাইরে থেকে পুজো দিয়ে চলে যান। যাঁরা ভিতরে ঢুকেছিলেন তাঁদেরও মানতে হয় দূরত্ববিধি। বাইরে থেকেই প্রণাম করে মন্দির থেকে বেরিয়ে যেতে হল ভক্তদের। স্থানীয় মানুষ ও সেবায়েতরা বলছেন, অন্য বছরের তুলনায় এবারের ছবিটা একেবারেই আলাদা। প্রতিবছর ভিড় থাকে, এবছর তার তুলনায় অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে মন্দির চত্বর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy