আলিপুর আদালত। ফাইল চিত্র।
একটি প্রতারণার মামলায় অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় শুক্রবার আইনজীবীদের হট্টগোলে প্রায় ঘণ্টাখানেক মামলার শুনানি বন্ধ রইল আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার হরিদেবপুর থানা এলাকার একটি যৌন নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় বিচারকের বিরুদ্ধে হই-হট্টগোল শুরু করেছিলেন অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবীরা। গোলমালে বিচারক ইন্দ্রনীল হালদার আসন ছেড়ে নেমে যান। ঘণ্টা দেড়েক পরে আবার শুনানি শুরু হয়।
এ দিনও প্রায় একই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, আনন্দপুর থানার ৬০ কোটি টাকার একটি প্রতারণার মামলায় অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় বিচারক ইন্দ্রনীল হালদারের বিরুদ্ধেই হট্টগোল শুরু করেন আইনজীবীরা। বন্ধ হয়ে যায় শুনানি। নিজের আসন ছেড়ে চলে যান বিচারক। শুনানি বন্ধ থাকে প্রায় দেড় ঘণ্টা। পরে মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক সুতীর্থ বন্দ্যোপাধ্যায় আইনজীবী এবং অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারককে নিয়ে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, বৈঠকের পরেও অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেননি ইন্দ্রনীলবাবু।
জামিন না হওয়ার ঘটনায় আইনজীবীদের বিক্ষোভ আলিপুর আদালতে নতুন নয়। অতীতে এমন একাধিক ঘটনার নজির রয়েছে। বরিষ্ঠ আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, আলিপুর ফৌজদারি ও দায়রা আদালতের এক শ্রেণির এমন আইনজীবী রয়েছেন। অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর না হলে আরও আইনজীবীদের এনে তাঁরা বিচারকের উপরে চাপ সৃষ্টি করেন।
মাস তিনেক আগে জামিন মঞ্জুর না হওয়ার আক্রোশে নোদাখালি থানার এক অফিসারকে মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের ঘরের সামনে মাটিতে ফেলে পেটানোর অভিযোগ উঠেছিল আইনজীবীদের একাংশের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার কর্তারা বৈঠক করেছিলেন। তার পরেও আইনজীবীদের একাংশের হট্টগোল চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy