উপচে পড়া বেলগাছিয়া ভাগাড়ের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়েছে বৃষ্টির জেরে। শনিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় ধস নামতে শুরু করেছে। ফলে হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড়ের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবেশপথ কাদায় ভরে যাওয়ায় শনিবার আবর্জনা বোঝাই গাড়িই ঢুকতে পারেনি সেখানে। যার জেরে দিনভর রাস্তার ধারেই দাঁড়িয়ে থেকেছে বর্জ্য বোঝাই গাড়িগুলি। ফলে হাওড়া শহরের অধিকাংশ ভ্যাট থেকে আবর্জনা তোলার কাজই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন সকালে নীচে নেমে আসার সময়ে পাহাড় সমান উঁচু ভাগাড় থেকে চাকা পিছলে একটি আবর্জনা বোঝাই লরি ধাক্কা মারে এক ডাম্পারে। বড় দুর্ঘটনা থেকে কোনও রকমে বেঁচে যান চালক। হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিনই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাদা সরিয়ে ভাগাড়ের রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
অথচ বছর পাঁচেক আগেই কলকাতা হাইকোর্ট হাওড়া পুরসভাকে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে আবর্জনা না ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু বিকল্প ভাগাড় তৈরির জমি না পাওয়ায় এখনও পর্যন্ত বেলগাছিয়া ভাগাড়েই আবর্জনা ফেলছে পুরসভা। পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রতিদিন প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ মেট্রিক টন আবর্জনা ফেলায় ভাগাড়ের পরিস্থিতি বিপজ্জনক সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি চলায় ছোটখাট ধসও নামছে। কাদায় ভরে গিয়েছে ভাগাড়ের রাস্তা।’’
হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন সকালে পুর এলাকা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে আনে যে সব গাড়ি, সেগুলি ভাগাড়ে উঠতে না পেরে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে যায়। যার ফলে ভ্যাট থেকে আবর্জনা তুলে ভাগাড়ে আনার কাজ প্রায় গোটা দিন বন্ধ ছিল। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ শ্যামল মিত্র। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বোর্ড থাকাকালীন এমন পরিস্থিতি হয়নি। ভ্যাটগুলি আবর্জনা ভর্তি থাকায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারাও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy