প্রতীকী ছবি।
বহুতল আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে সেখানে অবৈধ ভাবে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল ফ্ল্যাটের মালিকের বিরুদ্ধে। সারা বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক ও পুণ্যার্থীর আনাগোনা যে ধর্মস্থানে, সেই তারাপীঠে এমন অভিযোগ ওঠায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার তারাপীঠের ওই বহুতল আবাসনের কেয়ারটেকারকে আটক করা হয়েছে। যে ফ্ল্যাটে ওই ঘটনা ঘটেছে, সেটির মালিকের খোঁজ চলছে।’’ পুলিশ অবশ্য তদন্তের স্বার্থে ফ্ল্যাট-মালিকের নাম জানাতে চাইছে না। তবে পুলিশ সূত্রেই জানা যাচ্ছে, ওই ফ্ল্যাটের মালিক কলকাতার ঢাকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। আটক কেয়ারটেকারের বাড়ি তারাপীঠের সাহাপুর গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তারাপীঠ যাওয়ার আগে দ্বারকা নদের ধারে ওই বহুতল আবাসনের অবস্থান। সেখানে তিন তলায় একটি ফ্ল্যাট কিনে রেখেছেন ঢাকুরিয়ার ওই বাসিন্দা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ব্যক্তি তাঁর পরিচিতদের কেউ তারাপীঠে গেলে, নিজের এক কামরার ফ্ল্যাট ভাড়া দিতেন। বুধবার এ রকমই দুই দম্পতি তারাপীঠে গিয়ে ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। তাঁরাও ঢাকুরিয়া এলাকারই বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকালে লোডশেডিং হওয়ার পরে ওই পরিবারটি দেখতে পায়, দেওয়ালে একটি কাঠের বাক্সের গায়ে লেখা ‘ব্যাটারি বক্স’। সেই বাক্স খুলে তাঁরা দেখেন, ভিতরে ব্যাটারির বদলে রয়েছে হার্ড ডিস্ক! তখনই তাঁদের সন্দেহ হয়। তাঁরা গোপন ক্যামেরার খোঁজ শুরু করেন। ঘরের এবং শৌচাগারের আলো পরীক্ষা করে সেখানে তাঁরা ওই ক্যামেরার হদিস পান। এর পরেই ওই দুই দম্পতি রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, রামপুরহাট থানার ডাকে সিউড়ি থেকে সাইবার ক্রাইমের তদন্তকারীরা এসেও ফ্ল্যাটে আলোর সঙ্গে গোপন ক্যামেরা লাগানো দেখতে পেয়েছেন।
তারাপীঠ লজ মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবীপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘এই অভিযোগ খুবই গুরুতর। এ রকম ঘটনা তারাপীঠে আগে কখনও ঘটেনি। দোষীর কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। কারণ, এর সঙ্গে তারাপীঠের সুনাম জড়িয়ে আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy