লালবাজার।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। এ বার এক মহিলাকে খুনের ঘটনার তদন্তেও অভিযুক্ত স্বামীর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করতে চায় লালবাজার। ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশ মতো এক বিচারকের উপস্থিতিতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য তা পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৭ মার্চ লালবাজারের ১০০ ডায়ালে ফোন করে এক ব্যক্তি জানায়, সে তার স্ত্রীকে খুন করেছে। লালবাজারের মারফত খবর পেয়ে বেহালা থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থল রাজা রামমোহন রোডের ওই বাড়িতে। উদ্ধার হয় মহিলার দেহ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। পুলিশ জানতে পারে, ৬ মার্চ রাতে সমাপ্তি দাস (২৮) নামে ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে স্বামী কার্তিক দাস।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে কার্তিকের গলার স্বর আগেই রেকর্ড করা হয়েছে। সেটির সঙ্গে এ বার ১০০ ডায়ালে যে স্বর রেকর্ড হয়েছে, তা মিলিয়ে দেখা হবে। অর্থাৎ, ৭ মার্চ ওই ফোনটি কার্তিক নিজে করেছিল কি না, সেটাই দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, কার্তিকের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। তা মঞ্জুর হওয়ার পরেই তার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৪ বছর আগে কার্তিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সমাপ্তির। ওই দম্পতির এক ছেলে এবং এক মেয়ে। এক বছর ধরে কার্তিকেরা বেহালার রাজা রামমোহন রোডের বাড়িতে ভাড়া থাকত। লালবাজার সূত্রের খবর, সমাপ্তির সঙ্গে আর এক জনের প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে ঘটনার রাতে ওই দম্পতির মধ্যে বচসা বাধে। ওই সময়ে ঘরে দম্পতির দুই সন্তান ঘুমিয়ে ছিল। খুনের পরে স্ত্রীর দেহের পাশে শুয়ে সারা রাত কাটায় অভিযুক্ত। পরের দিন সকালে ১০০ ডায়ালে ফোন করে সব জানায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy