Advertisement
E-Paper

লক্ষ্য ভার লাঘব, ডিসেম্বর পর্যন্ত জমা পড়া পাসপোর্টের আবেদন দ্রুত ছাড়ার নির্দেশ

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা পড়া সব পাসপোর্টের আবেদনের তথ্য যাচাই করে সেগুলি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল লালবাজার।

প্রতি মাসে কলকাতা পুলিশ এলাকায় থানাপিছু গড়ে ৪০০-৪৫০টি পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়ে।

প্রতি মাসে কলকাতা পুলিশ এলাকায় থানাপিছু গড়ে ৪০০-৪৫০টি পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়ে। — প্রতীকী চিত্র।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ১০:০৫
Share
Save

ভুয়ো পাসপোর্ট চক্র সামনে আসার পরে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে পাসপোর্টের আবেদন করার সময়ে জমা দেওয়া সমস্ত নথির প্রতিলিপি যাচাইয়ের জন্য প্রথমে পাঠানো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট নথি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে। অভিযোগ, এর ফলে পাসপোর্ট তৈরিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন থানায় জমে গিয়েছে নতুন পাসপোর্ট থেকে শুরু করে পাসপোর্ট নবীকরণের বকেয়া আবেদন। এই পরিস্থিতিতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা পড়া সব পাসপোর্টের আবেদনের তথ্য যাচাই করে সেগুলি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল লালবাজার।

পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা পড়া যে সব আবেদন এখনও বকেয়া (পেন্ডিং) রয়েছে, সেগুলির নথি খতিয়ে দেখে যাচাইয়ের রিপোর্ট আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য থানা এবং নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (এসসিও) পাসপোর্ট অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ-ও বলা হয়েছে, ওই সময়সীমার মধ্যে জমা পড়া কোনও আবেদন বকেয়া বা আটকে থাকলে তার নেপথ্যে কী কারণ আছে, তা দেখাতে না পারলে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতি মাসে কলকাতা পুলিশ এলাকায় থানাপিছু গড়ে ৪০০-৪৫০টি পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়ে। ভুয়ো পাসপোর্ট চক্র সামনে আসার পরে নথি যাচাইয়ে কড়াকড়ি শুরু হওয়ায় বিভিন্ন থানায় ক্রমশ বেড়ে চলেছে জমা পড়া এমন আবেদন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া আবেদনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ হাজারে। গত ডিসেম্বরে সেই সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজারের কাছাকাছি।

এক পুলিশকর্তা জানান, জানুয়ারি মাস থেকে নথি যাচাইয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। মূলত তার পর থেকেই বিভিন্ন থানায় পাসপোর্টের আবেদন বেশি বকেয়া থাকতে শুরু করেছে। এই ভার কমাতেই ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত জমা পড়া আবেদন যাচাই করে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে অফিসারদের।

সূত্রের খবর, দক্ষিণ শহরতলির বেশ কয়েকটি থানায় পাসপোর্টের আবেদন জমে থাকার সংখ্যা বেশি। তা লাঘব করতে বিভিন্ন থানার পাসপোর্ট অফিসারদের সাহায্য করার জন্য স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের অফিসারদেরও কাজে লাগানো শুরু হয়েছে। বকেয়া থাকা আবেদনের পুলিশি যাচাইয়ের বোঝা কমাতে মার্চ মাস জুড়ে সেই কাজ করছেন থানায় থাকা স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল অফিসারেরা।

এক পাসপোর্ট অফিসার জানাচ্ছেন, পাসপোর্টের আবেদন করার সময়ে মূলত ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, জন্মের শংসাপত্র কিংবা কলেজ, স্কুল অথবা বোর্ডের শংসাপত্র ঠিক না থাকার কারণে এমন আবেদন জমে যাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে লালবাজারের নির্দেশ, কোনও নথিতে ত্রুটি বা সেটি নিয়ে সংশয় থাকলে বিরূপ রিপোর্ট তৈরি করে পাঠাতে। উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা তা দেখে তবেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

passport Lalbazar

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}