ভোগান্তি: বেলগাছিয়া সেতুতে যানজট। মঙ্গলবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
টালা সেতুর যান সামলাতে গিয়ে এ বার পুলিশের চিন্তা বাড়াচ্ছে বেলগাছিয়া সেতু। ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণে আগেই ওই সেতু দিয়ে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ করেছিল লালবাজার। কিন্তু টালা সেতুতে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় অধিকাংশ বাস ইন্দ্র বিশ্বাস রোড, বেলগাছিয়া দিয়ে ঘুরিয়ে আর জি কর রোড ধরে শ্যামবাজারে আনা হচ্ছে। তার ফলে যানজট হচ্ছে। আর তাতেই বেলগাছিয়া ব্রিজের উপরে দু’দিকে ঠায় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
নিচুতলার পুলিশকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, বেলগাছিয়া সেতুর উপরে যাতে বেশি ওজন না-চাপে তার জন্য ভারী গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এ ভাবে গাড়ি দাঁড়ালে সেতুর উপরে চাপ পড়বে। তার ফলে সেটির ক্ষতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিপদ আরও বাড়বে। তবে লালবাজারের কর্তারা জানিয়েছেন, বেলগাছিয়া সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া, সংস্কার হয়েছে সেতুর উপরে ট্রামলাইনেরও। সেতু নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থাও নতুন করে কিছু আশঙ্কার কথা জানায়নি। তাই ওই সেতু দিয়ে বাস পাঠানো হচ্ছে।
পুলিশের একটি সূত্রের বক্তব্য, উত্তর শহরতলি থেকে শহরে ঢোকার মূল পথ এখন বেলগাছিয়া সেতু। ফলে সেখানে যদি কোনও কারণে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তা হলে কার্যত ভিআইপি রোড ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা দিয়ে উত্তর শহরতলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার বাস শহরে আসতে পারবে না। ই এম বাইপাসে যাওয়ার উল্টোডাঙা সেতুর এক দিক বন্ধ থাকায় এমনিই উল্টোডাঙা-হাডকো মোড়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ বার আর জি কর রোড এবং যশোর রোডের গাড়ি সেখানে এলে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হবে। তাই আগেভাগেই কী ভাবে বেলগাছিয়া সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন পুলিশের আধিকারিকেরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, টালা সেতুতে ছোট গাড়ি চললেও কোনও গাড়ি দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে সর্বাধিক ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। কিন্তু বেলগাছিয়া সেতুর ক্ষেত্রে তা সম্ভব হচ্ছে না। উল্টে অন্য গাড়িও ওই সেতুর উপরে চলে আসছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy