রমজানের মধ্যেই আগামী সপ্তাহের শুক্রবার পড়েছে দোলযাত্রা এবং হোলির উৎসব। ওই সময়ে যাতে শহরে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে সব সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসব উদ্যাপন করতে পারেন, তার জন্য সতর্ক লালবাজার। ইতিমধ্যে থানাগুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকর্তারা। সূত্রের খবর, থানাগুলি নিজের নিজের এলাকায় সব প্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বয় বৈঠক এবং বিট বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই কিছু থানা ওই বৈঠক করেছে। বাকিরা সামনের সপ্তাহে তা করবে বলে সূত্রের দাবি।
এক পুলিশকর্তা জানান, ওই সময়ে দুষ্কৃতীরা যাতে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে, তার জন্য পুলিশ আগে থেকেই সতর্ক হয়েছে। নগরপাল মনোজ বর্মা তাঁর মাসিক অপরাধ দমন বৈঠকে বাহিনীকে তা নিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দোল এবং রমজান নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ বাহিনীকে।
চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে রমজান মাস। আগামী শুক্রবার রয়েছে দোল এবং হোলি। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ওই দিন দোল বা হোলি খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন সাধারণ নাগরিকেরা। ওই দিনই আবার রয়েছে জুম্মাবারের নমাজ। কোনও অনুষ্ঠানেই যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তার জন্যই সব দলের বা সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করছেন থানার আধিকারিকেরা। এ ছাড়া, সংবেদনশীল বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের বাহিনী টহল দেবে আগের দিন থেকে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল নারকেলডাঙা এবং বন্দর এলাকায়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কড়া অবস্থান নেওয়ায় অশান্তির আঁচ অন্য এলাকায় পড়েনি। লালবাজার জানিয়েছে, এ বারও পুলিশ সতর্ক থাকছে। ধর্মীয় স্থানের সামনে প্রয়োজনে রাখা হবে পুলিশ। তবে কোথায়, কত বাহিনী মজুত রাখা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)