ফাইল চিত্র।
নিম্নচাপের বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে লালবাজারে ইউনিফায়েড কমান্ড সেন্টার খুলছে কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার দুপুর থেকেই চালু হয়ে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য তৈরি হওয়া এই কেন্দ্র। এর নোডাল অফিসার হয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার (৪) তন্ময় রায়চৌধুরী। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন যুগ্ম কমিশনার (প্রশিক্ষণ) মেহমুদ আখতার ও ডিসি (ওয়্যারলেস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল নভেন্দ্রপাল সিংহ। প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর মোকাবিলা করার জন্যও এমন কমান্ড সেন্টার খুলেছিল কলকাতা পুলিশ। তাতে পরিস্থিতি সামলাতে সুবিধা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। ওই কেন্দ্রে পুলিশ, পুরসভা, এনডিআরএফ, দমকল, সিইএসসি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্তারা থাকবেন। যাতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে একসঙ্গে কাজ করা যায়। ফের নিম্নচাপের প্রভাবে শহরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে আঁচ করে দ্রুত এই সেন্টার খোলা হচ্ছে বলে লালবাজার জানিয়েছে। আজ, শনিবার থেকে ফের দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই দুর্যোগ মোকাবিলায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২২টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলে তিন জন করে সদস্য থাকবেন। তার মধ্যে ন’টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সাতটি থানায়। কালীঘাট এবং ভবানীপুর থানায় থাকবে দু’টি করে দল। এ ছাড়া আলিপুর, ওয়াটগঞ্জ, একবালপুর, নিউ মার্কেট এবং পার্ক স্ট্রিট থানায় থাকছে একটি করে দল। দক্ষিণ ডিভিশন বাদ দিয়ে প্রতি ডিভিশনে একটি করে দল মজুত থাকছে শুক্রবার থেকেই। পাশাপাশি, জমা জলের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য বডিগার্ড লাইন্স এবং পিটিএসে তৈরি রাখা হয়েছে পাঁচটি দলকে। তারা অবস্থা বুঝে শহরের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে উদ্ধারকাজে নামবে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্ৰতিটি দলের সঙ্গে পুলিশের একটি টহলদারি গাড়ি থাকবে। একই সঙ্গে লালবাজারের তরফে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য নৌকাও তৈরি রাখা হয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনিবার্চন। মনে করা হচ্ছে, নিম্নচাপের জেরে ওই বিধানসভা কেন্দ্রে যাতে জল জমলে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো যায়, তার জন্য সেখানে সাতটি থানায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে রাখা হচ্ছে। এর আগে ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সেখানে জল জমার বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমারকে আলাদা করে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
শহরের যে সব জায়গায় জল জমে, প্রতিটি থানাকে তার তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে লালবাজারের তরফে। তাতে উদ্ধারকাজ দ্রুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধার করা মানুষজনকে যাতে নিরাপদ স্থানে রাখা যায়, তার জন্য আশ্রয় হিসেবে স্কুল বা কলেজ ভবন দেখে রাখতেও বলা হয়েছে। পুরনো, জীর্ণ বাড়ির তালিকা বানিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্যও নির্দেশ এসেছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও ওষুধ মজুত করার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে।
গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে শহরের প্রায় সব জায়গাতেই জল জমেছিল। জল যাতে দ্রুত বার করা যায়, তার জন্য থানাগুলিকে নিজেদের এলাকায় কোথায় নিকাশির পাম্পিং স্টেশন রয়েছে, তার তালিকা এবং ফোন নম্বর মজুত করে রাখতে বলা হয়েছে। শুক্রবার থেকে প্রতিটি থানা এই কাজ শুরু করেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy