আঁতুড়ঘর: শহরের থানাগুলির সামনে এ ভাবেই পড়ে থাকে বাজেয়াপ্ত করা ভাঙাচোরা গাড়ি। ফাইল চিত্র।
কলকাতায় নির্বাচনের দু’দফায় ভোট হয়েছে। মূল কলকাতার আরও দু’দফার ভোট এখনও বাকি। এর মধ্যে শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে ডেঙ্গু-সহ বিভিন্ন ভেক্টর বাহিত রোগের আশঙ্কাও উঁকি দিচ্ছে শহর জুড়ে। তাই এ বার বর্ষা আসার আগে দ্রুত থানা এবং পুলিশের বিভিন্ন অফিসের সামনে ভাঙাচোরা পরিত্যক্ত গাড়ি সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ জারি করল লালবাজার। কারণ থানার সামনে জমে থাকা ওই পুরনো গাড়িতে জল জমে তা জীবাণুবাহী মশার আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত শুক্রবার লালবাজারের তরফে ওই নির্দেশিকা জারি করে থানা-সহ কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, মামলার সঙ্গে যুক্ত বা বাজেয়াপ্ত করা গাড়ি, মোটরবাইক বেশির ভাগ থানার সামনেই দাঁড় করিয়ে রাখা থাকে। কারণ, কলকাতা পুলিশের ডাম্পিং গ্রাউন্ড থাকলেও সেখানে সাধারণত জায়গা ফাঁকা থাকে না। অগত্যা থানার সামনেই রাখতে হয় সেগুলি। যদিও পুলিশের একাংশ জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরে লালবাজার চাপে বিভিন্ন থানার সামনে জমে থাকা গাড়ির সংখ্যা কমেছে। অভিযোগ, থানার সমানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা ওইসব গাড়িতেই জল জমে মশার লার্ভা জন্মায়, যা থেকেই ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
লালবাজারের নতুন নির্দেশিকায় তাই বলা হয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা বা দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে গাড়িমালিককে ফিরিয়ে দিতে হবে। আর যেগুলিতে নথি ঠিকঠাক নেই, সেই গাড়িকে অনলাইনে নিলামে তুলে সরিয়ে ফেলতে হবে। এক পুলিশ কর্তা জানান, রোগের প্রাদুর্ভাব আটকাতে শুধু গাড়ি সরিয়ে ফেলাই নয়, দাঁড়িয়ে থাকা জায়গায় যাতে জল না জমে, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য সেই জায়গাগুলি পুরসভার মাধ্যমে পরিষ্কার করতে হবে এবং জমে থাকা জল যাতে বেরিয়ে যায় সেটাও নজরে রাখতে হবে। নির্দেশিকা বলছে, মামলার স্বার্থে যে সব বাজেয়াপ্ত করা গাড়ি সরানো সম্ভব হবে না, সেগুলিকে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এমনকি, বৃষ্টি হলে সেখানে জল জমছে কি না সেটাও খেয়াল রাখতে হবে এবং জল জমলে তা দ্রুত সরিয়ে দিতে হবে থানাগুলিকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারা ভোটের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন থানা ঘুরেছেন। আর তখনই থানার সামনে জমে থাকা পুরোন ভাঙাচোরা গাড়ির ছবি ধরা পড়েছে। এ ছাড়া এখন বর্ষার সময় না হলেও কালবৈশাখীর জন্য মাঝেমধ্যেই শহরে বৃষ্টি হচ্ছে। তাই সেই বৃষ্টির জল জমে থাকলে করোনা সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি হতে পারে— সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই ওই নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy