তফসিলি জনজাতির ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি হয়েছে, এমন অভিযোগের তদন্ত শুরু করল লালবাজার। উচ্চপদস্থ এক আধিকারিককে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। এক পুলিশকর্তা জানান, বিষয়টি কিছু দিন আগেই তাঁদের নজরে এসেছে।
২০১২ সালে কয়েকশো জনকে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হয়। যাঁরা বর্তমানে বিভিন্ন থানা ও ইউনিটে কর্মরত। কিছু দিন আগে অভিযোগ ওঠে, এঁদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন ভুয়ো তফসিলি জনজাতি শংসাপত্র জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। নড়েচড়ে বসে লালবাজার। তদন্তের নির্দেশ জারি করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির পক্ষে থেকে প্রথম এই অভিযোগ তোলা হয়। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর এবং লালবাজারকে এই তথ্য জানায় তারা। লালবাজার জানিয়েছে, যাঁরা ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের ওই শংসাপত্র জমা দিতে বলা হবে। যেখান থেকে ওই শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছিল, সেখানে এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।
কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরও। এর আগে অন্যান্য দফতরে ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠলেও পুলিশের নিয়োগে এমন অনিয়ম কখনও সামনে আসেনি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)