লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
অস্বাভাবিক কোনও মৃত্যুর ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছেন কি না, তা জানতে এবং এই সংক্রান্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুত পেতে এ বার কলকাতা পুলিশের জন্য ‘মিনি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি’ তৈরি করছে লালবাজার। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে ওই ল্যাবরেটরি তৈরি করা হচ্ছে। লালবাজার সূত্রের খবর, ওই ল্যাবরেটরি খুব দ্রুত কাজ শুরু করে দেবে। ইতিমধ্যেই ওই ল্যাবরেটরির জন্য এক জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, এক জন প্যাথলজিস্ট, এক জন কেমিস্ট টেকনোলজিস্ট এবং এক জন ল্যাবরেটরি সহকারী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তির ভিত্তিতে তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতা পুলিশের তরফে ওই ল্যাবরেটরি তৈরির কাজ করা হয়েছে। আর জি কর কর্তৃপক্ষ ওই ল্যাবরেটরি চালাতে সাহায্য করবেন বলে লালবাজার জানিয়েছে।
কেন তৈরি করা হচ্ছে ওই ল্যাব?
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, বর্তমানে বিষক্রিয়ায় কারও মৃত্যু হয়েছে কি না, তা জানতে মৃতদেহের বিভিন্ন অংশের ভিসেরা সংগ্রহ করে তা রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট পেতে অনেক দেরি হয়। যার ফলে তদন্তের গতি কমে যায়। আবার দেরির কারণে শরীরের সংরক্ষিত অংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। ফলে, ভিসেরা পরীক্ষা করানো হলেও তা থেকে যথাযথ রিপোর্ট না-ও পাওয়া যেতে পারে। তাই বিষক্রিয়ায় কারও মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ হলেই ল্যাবরেটরিতে তাঁর দেহাংশের টক্সিকোলজি, হিস্টোলজি এবং সেরোলজি পরীক্ষা করাতে হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মিনি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি তৈরি হয়ে গেলে সেখানেই পরীক্ষা করিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে। তাতে তদন্তের গতি বৃদ্ধি পাবে। আপাতত কলকাতা পুলিশ এলাকায় কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে প্রয়োজনে ওই প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে মৃতের দেহাংশের পরীক্ষা করানো হবে। পরবর্তী কালে রাজ্য পুলিশও ওই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাতে পারবে কি না, তা ভেবে দেখা হবে বলে লালবাজারের একটি অংশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy