প্রতীকী ছবি।
রেল ইয়ার্ড কিংবা পাইকারি বাজারে দিনে কত লরি ঢোকে এবং বেরোয়, কোন সময়ে কত সংখ্যক লরি যাওয়া-আসা করে, সংশ্লিষ্ট এলাকার ট্র্যাফিক গার্ডগুলির কাছ থেকে সেই তথ্য জানতে চেয়েছিল লালবাজার। গত সপ্তাহে সেই হিসাব চাওয়ার পরে ট্র্যাফিক গার্ডগুলি লালবাজারে তা পাঠিয়েও দিয়েছে বলে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, অগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের একটি নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ করে বলা হয়েছিল, প্রতিদিন গড়ে কত সংখ্যক লরি চিৎপুর ও নিউ আলিপুরের মতো রেল ইয়ার্ডে ঢুকেছে বা বেরিয়ে গিয়েছে, তার হিসাব দিতে হবে প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডকে। আবার বড়বাজার, পোস্তা এবং কোলে মার্কেটের মতো পাইকারি বাজারে কত লরি যাওয়া-আসা করেছে ওই সময়ে, তারও হিসাব চাওয়া হয়েছিল। এর পাশাপাশি, ওই সময়ের মধ্যে কোন দিন, কোথায় সব থেকে বেশি লরি বা ট্রাক এসেছে, তা-ও জানিয়েছেন ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকেরা। এক পুলিশকর্তা জানান, ওই সমস্ত জায়গায় ক’টা লরি রাখার জায়গা আছে, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলি।
ট্র্যাফিক গার্ডগুলির কাছে এই হিসাব কেন চাইল লালবাজার?
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, শহরে দিনের বেলায় লরি বা ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ। যার জেরে রাত দশটার আগে বাইরে থেকে পণ্যবাহী লরি বা ট্রাক শহরে ঢুকতে পারে না। একই ভাবে রেলের ইয়ার্ড কিংবা পোস্তা-বড়বাজারের মতো জায়গায় মাল খালাস করেও ফাঁকা লরিগুলি বাইরে যেতে পারে না। সেই কারণে রাতের দিকে নিষেধাজ্ঞা উঠলে সবাই একসঙ্গে শহর থেকে বেরোতে বা শহরে ঢুকতে চায়। যার জেরে বিদ্যাসাগর সেতু, বি টি রোড-সহ একাধিক রাস্তায় গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়। আর ওই যানজটে সব চেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েন সাধারণ মানুষ।
ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘কিছু দিন আগে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, রাত দশটা থেকে একটা পর্যন্ত সব চেয়ে বেশি চাপ থাকে বিদ্যাসাগর সেতুতে। মূলত ওই সময়ে শহরের সব জায়গা থেকেই লরি বা ট্রাক বাইরে বেরোনোর জন্য বিদ্যাসাগর সেতু ধরে। ফলে যানজট লেগেই থাকে। আবার রাত একটার পর থেকে গাড়ির চাপ কমে যায়। তাই পুলিশ খতিয়ে দেখছে, কোন সময়ে কোথা দিয়ে কত যানবাহন একসঙ্গে ঢোকে বা বাইরে যায়।’’
পুলিশকর্তাদের একাংশের মতে, ট্র্যাফিক গার্ডের পাঠানো তালিকা পরীক্ষা করার পরে তাঁদের মনে হয়েছে, এক-একটি জায়গা থেকে পণ্যবাহী লরি বা ট্রাক ঢোকার এবং বেরোনোর আলাদা আলাদা সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া যেতে পারে। যাতে সব জায়গা থেকে একসঙ্গে ট্রাক না বেরোয়, অথবা সব জায়গায় ঢোকার চেষ্টা না করে। এমন ব্যবস্থা করা হলে যানজট খানিকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলেই তাঁদের ধারণা। তবে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। গোটা বিষয়টি আলোচনার স্তরে রয়েছে বলেই পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy