শোভন চট্টোপাধ্যায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিজেপির হয়ে প্রথম ময়দানে নামতে গিয়েই ধাক্কা খেল শোভন-বৈশাখী জুটি। সোমবার খিদিরপুর থেকে গেরুয়া শিবিরের বাইক র্যালি করার কথা তাঁদের। তার ঠিক আগে রবিবার সন্ধ্যায় ওই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে লালবাজারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে র্যালির চাকা গড়ানোর আগেই তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে এ দিন রাত পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি না মেলায় বৈঠকে বসেন বিজেপি-র কলকাতা জোনের নেতারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেই নেতাদের কারও সঙ্গেই টেলিফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে পুলিশের সঙ্গে সঙ্ঘাতে যাবে না বিজেপি। নির্দিষ্ট সময়, নির্দিষ্ট জায়গা থেকে র্যালি শুরু হবে। যতটা এগনো সম্ভব এগোবে। তার পর পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোমবার খিদিরপুর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্রদক্ষিণ করে বিজেপির রাজ্য দফতরে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিলেন শোভন। সঙ্গে থাকার কথা তাঁর বান্ধবী বৈশাখী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র।
কর্মসূচি মোতাবেক কলকাতা পুলিশের কাছে র্যালির রুট (ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে শুরু করে মোমিনপুর, নিউ আলিপুর, টালিগঞ্জ হয়ে রাসবিহারী হাজরা ক্রসিং, এক্সাইড মোড়, কে সি দাস মোড়, সেন্ট্রাল এভিনিউ পেরিয়ে মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির সদর দফতর) জানানো হয়েছিল। কিন্তু কর্মসূচির শেষলগ্নে, ওই রোড শো-এর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের ব্যাখ্যা, গাড়ি এবং বাইক নিয়ে রোড শো করলে এলাকায় ব্যাপক যানজট হতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে রোড শো-এর অনুমতি দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: বাংলায় কত ভোট পাবে তৃণমূল? অভ্যন্তরীণ হিসেবে স্বস্তিতে ঘাসফুল
আরও পড়ুন: বিজেপি-র লোকদের ডান্ডা মেরে তাড়ান, নিদান দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতার
রাজ্যের এই পদক্ষেপের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘এই ঘটনা বুঝিয়ে দিল তৃণমূল গণতন্ত্রে কতটা আস্থা রাখে।’’ তবে র্যালি নিয়ে বিজেপি রাজ্যের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথে যেতে প্রস্তুত বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, পুলিশ অনুমতি না দিলেও রবিবার রাত পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির সিদ্ধান্ত বাইক র্যালি হবেই। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহের নেতৃত্বে বাইক মিছিল হতে পারে। রোড শো-এর জন্য তৈরি রাখা হয়েছে প্রচুর গাড়িও।
ঘটনার গতিপ্রকৃতি এমন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে তা আঁচ করে লালবাজারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তাই জোর করে বাইক বা গাড়ি নিয়ে মিছিল করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের তরফে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে পুলিশ বাহিনীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy