মাঝেরহাট রেল ব্রিজের ধারে ক্লাস চলছে। নিজস্ব চিত্র
ওদের কাছে না আছে অনলাইন ক্লাস করার মতো প্রযুক্তি। না আছে গৃহশিক্ষক। ওরা মানে, মাঝেরহাট রেল ব্রিজের কাছে মধু বস্তির খুদেরা। করোনার জন্য গত বছর থেকে স্কুলটাও বন্ধ। এ ভাবে পড়াশোনা চলবে কী করে? মধুবস্তির খুদে পড়ুয়াদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন কলকাতা পুলিশের সাউথ ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীরা। বুধবার বস্তির খুদেদের নিয়ে প্রথম ক্লাস শুরু হল। গ্রিন পুলিশের ইউনিফর্ম পরেই শিক্ষকের ভূমিকা নিলেন রমা রায়চৌধুরী। খোলা আকাশের নীচে চলল পুলিশের পাঠশালা।
করোনা কালের বিভিন্ন রক্তদান শিবির থেকে খাবার বিতরণ। বিভিন্ন কাজে শামিল হয়েছে কলকাতা পুলিশ। এ বার তারা শিক্ষকের ভূমিকায়।
মাঝেরহাটের মধু বস্তির গৃহকর্তাদের মূল কাজই হল মধু সংগ্রহ করে বিক্রি করা। লকডাউনে এখন সেই কাজ বন্ধ। এই অবস্থায় বস্তির পড়ুয়াদের গৃহশিক্ষক তো দূর, ঠিকমতো পড়াশোনা চালানোই দায়। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও এই বস্তির খুদেদের পড়াশোনার ইচ্ছা চোখ এড়ায়নি স্থানীয় সাউথ-ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীদের।
বুধবার বিকেলে ওই ট্রাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীরা চক, বোর্ড নিয়ে পৌঁছে যান মধু বস্তিতে। ওই দিন থেকেই জনা তিরিশেক পড়ুয়া নিয়ে শুরু হয়ে যায় ক্লাস। আপাতত রোজ বিকেলে দু’ঘণ্টা করে ক্লাস করানো হবে। ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট থেকে গ্রিন পুলিশ, যাঁর যেদিন সময় থাকবে, তিনি গিয়ে মধু বস্তিতে গিয়ে ক্লাস করাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পরে এই ৩০ জনের স্কুলের ক্লাস অনুযায়ী আলাদা আলাদা গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানান সাউথ-ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের ওসি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy