ফাইল চিত্র।
আবগারি কর বেড়েছে বিস্তর। ফলে অনুমোদিত দোকান থেকে মদ কিনতে গেলে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে পকেট। তাই লুকিয়ে-চুরিয়ে নকল মদের বিক্রি বাড়ারও খবর পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি কলকাতায় হানা দিয়ে নকল মদ তৈরির কারখানার হদিস পেল রাজ্য আবগারি দফতর।
সস্তার ‘র’ বা বিশুদ্ধ স্পিরিটের সঙ্গে জল মিশিয়ে তা ভরা হচ্ছে ব্র্যান্ডেড মদের বোতলে। সেই বোতলের জন্য তৈরি হচ্ছে নকল লেবেল ও ছিপি। কিন্তু, তার রং তো সাদা? সেই তরলকে ভদকা বলে চালিয়ে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু, রাম ও হুইস্কি তো রঙিন পানীয়। রাজ্য আবগারি দফতরের স্পেশ্যাল কমিশনার (এনফোর্সমেন্ট) সুব্রত বিশ্বাস জানিয়েছেন, ওই জল মেশানো স্পিরিটের সঙ্গে ক্যারামেল মিশিয়ে কখনও রাম, কখনও হুইস্কি তৈরি হচ্ছে। তিলজলার ব্রাইট স্ট্রিটে যে কারখানার হদিস পাওয়া গিয়েছে, সেখানে নকল লেবেল, ছিপি-র সঙ্গে ছিপি সিল করার যন্ত্রও পাওয়া গিয়েছে। পাওয়া গিয়েছে ১০ লিটার নকল মদ।
সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, ওই কারখানা থেকে রামের ২৩ হাজার টেট্রা প্যাকও পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি মূলত শহরতলিতে সরবরাহ করা হত। ওই কারখানায় নকল মদ
তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আজহার ও মাজহার আহমেদ নামে দুই যুবককে। এই ধরনের কারখানায় কোথা থেকে বিশুদ্ধ স্পিরিট আসছে, তার খোঁজে নেমে গত ২৩ জানুয়ারি কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায় একটি লরির গাড়ির ভিতর থেকে ২০০ লিটার স্পিরিট পাওয়া যায়। সেখানে ৩০০ লিটার নকল মদও ছিল। সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, ওই লরিটির ভিতর থেকে ‘সিইএসসি অন ডিউটি’, ‘আর্মি অন ডিউটি’, ‘প্রেস’ লেখা বোর্ড পাওয়া গিয়েছে।
সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘গাড়িতে এই ধরনের বোর্ড লাগানো থাকলে পুলিশ সাধারণত রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করে না। চক্রের লোকেরা সেই সুযোগটা নিত বলে আমাদের মনে হয়েছে।’’ ওই গাড়িতে করে স্পিরিট আসছিল বলে আগে থেকে খবর পেয়ে যান আবগারি কর্তারা। ডানকুনি থেকে গাড়িটির পিছু নিয়ে কলকাতায় এসে আটকানো হয়। এই স্পিরিট পাচারের অভিযোগে লিলুয়ার বাসিন্দা অমল বড়াল এবং বৌবাজারের বাসিন্দা অষ্টমী ঠাকুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy