বটতলার ছবি, বিশেষত কাঠখোদাই ছবি নিয়ে কলকাতা ও বৃহত্তর শিল্পচর্চা-জগতে আগ্রহ কম নয়। উপযুক্ত বইপত্র যে বিস্তর তা-ও নয়, তবে এই শিল্প ও শিল্পীদের নিয়ে সনিষ্ঠ অনুসন্ধান ও গবেষণায় সাম্প্রতিক কালে উঠে এসেছে অনেক নতুন তথ্য ও ছবি। সেই আলোয় সামনে এসেছে এই আলোচনাও: বটতলার কাঠখোদাই শিল্পীদের কেন স্রেফ বটতলার ছোট্ট পরিসরেই বেঁধে রাখা হবে, কলকাতার সমপরিচয়েরও দাবিদার স্বশিক্ষিত এই শিল্পীরা। তাঁদের গড়ে দেওয়া ভিত্তিভূমিতে ছবির বীজ বুনেছেন, ফসল ফলিয়েছেন পরবর্তী কালের বহু শিল্পী, এই চিত্রধারা নিয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হয়েছে প্রশিক্ষিত ও প্রাতিষ্ঠানিক বৃত্তে— দেশে, বিদেশেও। প্রায় দেড়শো বছরের দীর্ঘ পরিসরে সেই ছবিই তুলে ধরেছেন শিল্পী অসিত পাল, সিগনেট প্রেস প্রকাশিত কলকাতার কাঠখোদাই বইয়ে।
“এরা না থাকলে বটতলার আশি শতাংশ পরিচিতিই ঘটত না... মানুষগুলোর সামনে কিছুই ছিল না, শিল্পের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার কোনও ভাঁড়ার ছিল না। সবটাই গড়ে উঠেছিল একটা তাগিদে, কারও তাগিদ ছিল প্রকাশনাকে ছবি দিয়ে সাজিয়ে পাঠকের কাছে আরও লোভনীয় করে তোলা, আবার কারও তাগিদ ছিল জীবনধারণের জন্য এক নতুন জীবিকার সন্ধান।”— কাঠখোদাই শিল্পীদের প্রসঙ্গে ভূমিকায় লিখেছেন লেখক। বাংলায় ছাপাখানার আগমন, সেই সূত্রে প্রকাশনার প্রসার ও তারই সুবাদে বইকে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করে তুলতে অলঙ্করণ ও ছবির দরকার পড়ল যখন, সেই দায়িত্ব মাথায় তুলে নিয়েছিলেন এই কাঠখোদাই শিল্পীরা। পাঁচটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত বইয়ের প্রথম অধ্যায়-শীর্ষকই তাই ‘ছাপাখানা ও তার প্রকাশকের দৌলতে জন্ম নিল কাঠখোদাই ছবি’। এক শিশু শিল্প কী ভাবে নিজের চেষ্টায় হামাগুড়ি দিতে দিতে, সমসময়ের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এই দুইকেই সঙ্গে নিয়ে উঠে দাঁড়াল, ক্রমে কেতাবি শিক্ষায় কী ভাবে খানিক পাল্টাল নিজেকে, শিশুসাহিত্যের গ্রন্থ-চিত্র ও পরে আধুনিক শিল্পীদের গ্রাফিক আর্টে কেমন উত্তরণ ঘটল তার, সেই অভিযাত্রাকে ধরার প্রয়াস বই জুড়ে।
চিত্রাবলিই এই বইয়ের প্রাণ, ছবির সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে তিনশো! পঞ্চানন কৃষ্ণচন্দ্র হরচন্দ্র হীরালাল কর্মকার, রামচাঁদ রায়, গুপীচরণ স্বর্ণকার, নৃত্যলাল দত্ত, কার্তিকচন্দ্র বসাক, নফরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, হরিদাস সেন, ত্রৈলোক্যনাথ দেব-সহ সে কালের নামকরা ও তথাকথিত অনামী শিল্পীদের সঙ্গে নন্দলাল বিনোদবিহারী ললিতমোহন চিত্তপ্রসাদ সোমনাথ হোর হয়ে কমলকুমার মজুমদারের চিত্রকৃতিতে ধরা আছে কাঠখোদাই চিত্রধারার যুগান্তরের ইতিহাস। পঞ্জিকাচিত্র, দেবদেবী, পুরাণ ও মহাকাব্য, পূজা-উৎসবের ছবি, কেচ্ছা-চিত্রণ, গ্রন্থনামাঙ্কন, বিজ্ঞাপন-লেখনের নমুনা, কী নেই! ছবিতে বাঁ দিকে তারকেশ্বরের মহন্তর কেচ্ছা, ডান দিকে এলোকেশীকে হত্যায় উদ্যত স্বামী নবীনচন্দ্র— বই থেকে নেওয়া।
অঞ্জলি
জন্মশতবর্ষ পেরোলেও কোভিড-আবহে উদ্যাপন হয়নি সে ভাবে। সেই কাজই করল হংসধ্বনি পত্রিকার (প্রধান সম্পাদক: সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়) সূচনা সংখ্যা, পুরো পত্রিকাটিই কণ্ঠবাদনের খলিফা রামকুমার চট্টোপাধ্যায়কে (ছবিতে) নিয়ে। নিছক স্তুতি প্রশংসা স্মৃতিচারণ নয়, পাতায় পাতায় সঙ্গীতগুণীকে নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা: সাঙ্গীতিক প্রজ্ঞায়, শিক্ষকতায়, ছবির গানে, আধুনিকতায় কোথায় তিনি অনন্য, তা নিয়ে নানা মেজাজের লেখার সন্নিবেশ। লিখেছেন স্বামী সর্বগানন্দ, তরুণ মজুমদার, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, কবীর সুমন, তুষার তালুকদার-সহ বিশিষ্টজন। সঙ্গে শিল্পীর রচিত ও সুরারোপিত গানের তালিকা, জীবনপঞ্জি, না-দেখা সাদা-কালো ও রঙিন আলোকচিত্রও কিছু। তারক চ্যাটার্জি লেন তার গান আর বৈঠকের বৈভব নিয়ে হাজির পত্রিকা জুড়ে। খর নিদাঘে চৈত্রপবনের স্বস্তি!
সঙ্কটে, সমাধানে
শিশুকে শিক্ষাদানে রাষ্ট্র শিক্ষানীতি বানিয়েছে, গড়েছে শিক্ষাকাঠামো। তবু দেশের তথা সমাজের অন্যতম প্রধান চিন্তা শিক্ষা নিয়েই। নীতির নামে দুর্নীতি, অন্য দিকে সঙ্কীর্ণ দলীয় রাজনীতির নামে বিপজ্জনক চক্রব্যূহে বাঁধা পড়েছেন সকলে। এই আবহেই ‘জাতীয় শিক্ষানীতি এবং শিক্ষার অন্তর্জলি যাত্রা’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করেছে ‘ফ্রেন্ডস অব ডেমোক্রেসি’, আগামী ৬ এপ্রিল বুধবার বিকেল ৫টায়, মহাবোধি সোসাইটিতে। প্রকৃত সুশিক্ষার পথের সন্ধানে, সমস্যার গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ ও সম্ভাব্য সমাধান প্রসঙ্গে আলোচনা করবেন অনুপম বসু, হিমাদ্রি চট্টোপাধ্যায় ও কুমার রাণা। সভামুখ্য অশোকেন্দু সেনগুপ্ত, সঞ্চালনায় ভাস্কর গুপ্ত। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক সুনন্দ সান্যালের প্রতি শ্রদ্ধায় অনুষ্ঠানটি নিবেদিত, তাঁকে নিয়ে বলবেন কল্যাণ রুদ্র।
মানুষের ছবি
ডিসকাউন্ট ওয়ার্কার্স, পাকিস্তানের শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে অমর আজিজ ও ক্রিস্টোফার পাৎজ়ের ছবি। বাংলাদেশের বীরাঙ্গনা ও কোরিয়ার ‘কমফর্ট উইমেন’দের হারিয়ে যাওয়া কাহিনি নিয়ে শেখ আল মামুনের হোয়াই নট, রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ে উমা চক্রবর্তী ও প্রিয়াঙ্কা ছাবরার ইয়ে লো বয়ান হমারে, আনন্দ পটবর্ধনের নতুন ছবি হার্ট টু আর্ট, বাংলায় হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির উত্থান ও তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নিয়ে দ্বৈপায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ও কস্তুরী বসুর আ বিড ফর বেঙ্গল, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিয়ে ভিন্নতর বয়ান মধুলিকা জালালির ঘর কা পতা... এই সব ছবি দেখতে উৎসাহী দর্শকের সমাগম উত্তম মঞ্চে। চলছে ‘কলকাতা পিপল’স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’, আগামী কাল অবধি। বিভিন্ন ছবিতে এনআরসি, অভিবাসন, পরিযায়ী শ্রমিক ও লকডাউনের মতো বিষয়। বদলে-যেতে-থাকা বারাণসীকে নিয়ে রীতেশ শর্মার তৈরি ঝিনি বিনি চাদরিয়া দেখিয়ে শেষ হবে উৎসব। ছবির উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ, প্রতিবাদী শিল্পের প্রদর্শনী।
সাধক স্মরণ
সাধক কবি, কবিরঞ্জন বলে ডাকা হয় তাঁকে। রামপ্রসাদ সেনের গান বাঙালির সঙ্গীত-ঐতিহ্যের অচ্ছেদ্য অংশ, সুর বাণী কাব্যময়তা ও আধ্যাত্মিকতার সম্মিলনে অনন্য। তাঁর জন্মের ত্রিশতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে কলকাতার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘সূত্রধর’ ও শাক্তসঙ্গীত চর্চার প্রাচীন সংস্থা ‘আন্দুল কালী কীর্ত্তন সমিতি’ একত্রে আয়োজন করেছে অনুষ্ঠান, ‘বাঙালির মাতৃসঙ্গীত সাধনার ধারা’। আজ সন্ধ্যা ৬টায়, বিডন স্ট্রিটে ছাতুবাবু-লাটুবাবুর বাড়ির ঠাকুরদালানে। থাকবেন স্বামী সুপর্ণানন্দ, স্বরূপপ্রসাদ ঘোষ প্রমুখ, প্রকাশিত হবে রামপ্রসাদকে নিয়ে দীনেশচন্দ্র সেন ও তিনকড়ি মুখোপাধ্যায়ের গ্রন্থ, আন্দুল কালী কীর্ত্তন ও বাউল-গীতাবলী, পান্নালাল ভট্টাচার্যকে নিয়ে বই, সিডি-ও। আছে গুণিজনসংবর্ধনা, গান পরিবেশনও।
অন্তরধ্বনি
ময়মনসিংহের জমিদারবাড়ির অলিন্দ তাঁর অন্তরধ্বনির উৎস। কিশোর মনকে প্রেরণা দিয়েছিল মেহফিলের সুরমূর্ছনা, প্রথাগত তালিম ছাড়াই সেতারে উস্তাদ এনায়েত খানের রেকর্ড বাজিয়ে ফেলা। দেশভাগ, অচেনা কলকাতায় বাঁচার লড়াই পেরিয়ে মনোজশংকর ক্রমে বুঝেছেন, জীবন-জীবিকার মেলবন্ধনে সেতারই তাঁর অবলম্বন। মাইহার ঘরানার তালিম পেয়েছেন, উস্তাদ আলী আহমেদ খান ও উস্তাদ বাহাদুর খানের আশীর্বাদও, আবহ সঙ্গীতের কাজ করেছেন সুবর্ণরেখা-য়। দেশ-বিদেশে সেতার বাদন, রবীন্দ্রভারতীতে শিক্ষকতা, অজস্র ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা দান, সাত দশক ব্যাপী সুরসাধনা। ৯ মার্চ প্রয়াণদিন সঙ্গীতসাধকের, তাঁর ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে স্মরণ-অনুষ্ঠান আগামী ২০ এপ্রিল, আইসিসিআর-এর সত্যজিৎ রায় প্রেক্ষাগৃহে। পণ্ডিত মনোজশংকরকে নিয়ে মৈনাক দাসের তথ্যচিত্র অন্তরধ্বনি দেখানো হবে, স্মৃতিচারণা করবেন বিশিষ্টজন।
অমূল্য
বাগবাজারের রামকৃষ্ণ মঠ, উদ্বোধন কার্যালয় শুরু করেছে চমৎকার এক প্রকল্প: অমূল্য ও দুষ্প্রাপ্য পুঁথি সংরক্ষণ করে ডিজিটাল পুঁথি সংগ্রহশালা তৈরির কাজ। প্রাথমিক ধাপ হিসাবে নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কলকাতা-সহ নানা জেলায় ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংগ্রহে থাকা বহু পুঁথি ডিজিটাইজ় করার কাজ আরম্ভ হয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে মূল পুঁথিকে স্পর্শ না করে, অবিকৃত রেখে স্ক্যান করা হচ্ছে। ‘উদ্বোধন’-এর এই উদ্যোগ ও কর্মপদ্ধতির কথা জেনে অনেকেই তাঁদের ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা পুঁথি ডিজিটাল সংগ্রহশালায় দানের ইচ্ছা জানিয়ে যোগাযোগ করেছেন। সেগুলি ডিজিটাইজ় করে ও যথাযথ ঋণ স্বীকার করে এই সংগ্রহশালায় ধাপে ধাপে রাখছেন উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ। এই কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ হলে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে এই অমূল্য পুঁথির ভান্ডার, সহায়ক হবে গবেষণার কাজেও। নীচের ছবিতে বেদান্তশিখামণি পুঁথির একটি পাতা, ছবি সৌজন্য: উদ্বোধন কার্যালয়
শিল্পের যাত্রা
একুশ বছরের নিরন্তর শিল্প যাপনের উদ্যাপন। ভবতোষ সুতারের শিল্পপথের আখ্যান ও অভিযাত্রা — অনাথাশ্রমের শৈশব থেকে শুরু করে মধ্যযৌবনে শিল্পাশ্রম ‘চাঁদের হাট’-এর গড়ে ওঠার কাহিনি। এই সবই ধরা মূর্তিতে, ভিডিয়োয়, ইনস্টলেশন ও স্থাপত্যে (সঙ্গের ছবিতে একটি)— সরশুনা ক্ষুদিরাম পল্লির ‘চাঁদের হাট’-এ ‘উদ্যাপন’ নামের প্রদর্শনীতে, গত ২৭ মার্চ থেকে। ভবতোষের পরিচিতি বহুলাংশে কলকাতার দুর্গাপুজোর শিল্পী হিসাবে, গত দুই দশকেরও বেশি সময় শহরের দুর্গাপুজোর শিল্প-পরিসরকে সতত ভাঙা, গড়া, প্রশ্ন করা, উত্তর খোঁজার মধ্য দিয়ে চলেছে তাঁর যাত্রা। সেই নির্মাণ-প্রক্রিয়ার চাক্ষুষ বিবৃতি এই প্রদর্শনী। শুরুর দিন মাঠে ঘাটে শিল্প নামে একটি বইয়েরও উদ্বোধন হল এখানে, শহরের পূর্বপ্রান্তিক ‘অর্জুনপুর আমরা সবাই’ ক্লাবের পরিবেশনায়, শিল্পীর গত বছরের দুর্গাপুজোর শিল্পকৃতি নিয়ে— মুখবন্ধ তপতী গুহঠাকুরতার। প্রদর্শনী চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত, রোজ দুপুর ৩টে থেকে রাত ৮টা। প্রকাশিত বইটির বিশদ তথ্য শিল্পীর ওয়েবসাইটে।
কর্মিষ্ঠ
১৯৬৪-র কলকাতায় শব্দদূষণ নিয়ে সমীক্ষা করেছিলেন শিবব্রত চট্টোপাধ্যায়। পেশায় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সূচনাপর্ব থেকে। ভোপাল দুর্ঘটনার পরে ভারত ঘুরে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উৎপাদন ও সংরক্ষণের যে নথি প্রস্তুত করেন, তাকে ১৯৮৬-র পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ভিত্তি ধরা হয়। তৈরি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ তথা পূর্বাঞ্চলের প্রথম দূষণ পরীক্ষার গবেষণাগার, পড়িয়েছেন যাদবপুর ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ নানা প্রতিষ্ঠানে। পূর্ব কলকাতার জলাভূমি সংরক্ষণ, আদিগঙ্গার দূষণ নিয়ন্ত্রণ, কলকাতার জল বা বাতাসের মান, শহরের জলস্তর, প্রতিটি বিষয়ে গবেষণালব্ধ তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন; প্রায় একক চেষ্টায় রেল মন্ত্রককে রাজি করিয়েছেন ট্রেনে বায়ো-টয়লেটের ব্যবস্থা করতে। কর্মিষ্ঠ, নিবেদিতপ্রাণ মানুষটি সম্প্রতি চলে গেলেন ৯৩ বছর বয়সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy