—ফাইল চিত্র।
রোগিণীর পারিবারিক ইতিহাস শুনেই চিকিৎসকেরা বেশ কিছু পরীক্ষা করিয়েছিলেন। সেই সব পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে দু’টি স্তন, জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ান টিউব বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির পথে হেঁটে রাজি হন ওই মহিলা। চিকিৎসকদের দাবি, ওই মহিলার মধ্যে ক্যানসার ফিরে আসার আশঙ্কা এখন পাঁচ শতাংশ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা, মৌসুমী রায় নামে ওই মহিলা সম্প্রতি অনলাইনে সাংবাদিক বৈঠকে জানান, চলতি বছর জানুয়ারিতে তাঁর বাঁ দিকের স্তনের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। তাঁর মা, মাসি দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছিল স্তন ক্যানসারে। বাবাও মারা গিয়েছেন ক্যানসারেই। বাইপাসের ধারে অ্যাপোলো হাসপাতালে গত অগস্টে অস্ত্রোপচার হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “স্তন ক্যানসার নির্মূল করার পথে এটি বড় ধাপ।”
হাসপাতালের ক্যানসার চিকিৎসক সৈকত গুপ্ত বলেন, “বিআরসিএ ওয়ান-এর ফল অনুযায়ী মৌসুমীর ডান স্তন, জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবে ক্যানসার ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সব শুনে রোগী অস্ত্রোপচারে রাজি হন। যা এই হাসপাতালে প্রথম।” চিকিৎসক শুভদীপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্লাস্টিক সার্জেন সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য-সহ চিকিৎসক দল আট ঘণ্টায় তিন ধরনের অস্ত্রোপচার করে। এর মধ্যে ছিল দু’টি স্তনের পুনর্গঠনের কাজও। মৌসুমীর স্বামী সৌম্যদীপ রায় জানিয়েছেন, মৌসুমী এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy