প্রতীকী ছবি।
রাত তখনও গভীর হয়নি। এক জন করে আরোহী নিয়ে পরপর তিনটি মোটরবাইক ছুটে চলেছে বেপরোয়া ভাবে। এই চিত্র কয়েক মাস আগের সুকান্ত সেতুর। এ বার সুকান্ত সেতুর উপর দিয়ে চলাচলকারী মোটরবাইকের গতি বেঁধে দিতে চলেছে লালবাজার। একই ভাবে বেপরোয়া গাড়ি আটকাতে ছোট গাড়ি, বাস এবং লরির ক্ষেত্রেও গতিসীমা বেঁধে দেওয়া হবে।
লালবাজার জানিয়েছে, শুধু যাদবপুর-সন্তোষপুরের সংযোগকারী সুকান্ত সেতুই নয়। রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন বরোজ রোড এবং উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একাংশেও গতিসীমা বেঁধে দেওয়া হবে। শহরের বিভিন্ন রাস্তা এবং সেতুতে আগেই গাড়ির গতি নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাদ ছিল এই তিন জায়গা। সোমবার লালবাজারের তরফে জারি করা ট্র্যাফিক রেগুলেশনে ওই তিনটি জায়গাও গতিসীমার আওতায় আনা হল।
সুকান্ত সেতু দিয়ে যে সব ছোট গাড়ি এবং মোটরবাইক চলাচল করবে তাদের জন্য ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে গতির সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। লরি এবং বাসের জন্য এই গতি প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার। রবীন্দ্র সরোবরের বরোজ রোড দিয়ে যে সব মোটরবাইক আরোহীরা যাবেন, তাঁরা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তুলতে পারবেন। এই গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ছোট গাড়ির জন্যও। তবে লরি বা বাস কোনও মতেই ৩৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে যেতে পারবে না। উল্টোডাঙা উড়ালপুলে মোটরবাইকের গতি ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা করা হলেও ছোট গাড়ি সেখান দিয়ে যেতে পারবে ৬০ কিলোমিটার বেগে।
কেন গতি বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত?
লালবাজারের কর্তারা জানাচ্ছেন, শহরের সব রাস্তাতেই সর্বোচ্চ গতি নির্ধারিত করা রয়েছে। কিন্তু ওই তিন রাস্তায় তা ছিল না। ফলে পুলিশকর্মীদের উপস্থিতিতেও বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক এবং গাড়ি সেখান দিয়ে যেত বলে অভিযোগ। এ বার গতিবেগ ঠিক করে দেওয়ার ফলে কেউ তা অমান্য করলে পুলিশ গাড়ির চালককে জরিমানা করতে পারবে। আইনি ব্যবস্থা নিতেও পারবে। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের দাবি, বেপরোয়া গতি রোখার জন্যই ওই তিন জায়গায় স্পিড ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এতে বেপরোয়া মোটরবাইক এবং গাড়ির গতি রুখে দেওয়া সহজ হবে বলে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন। লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতায় প্রথম দফায় ২০টি জায়গায় স্পিড ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। পরে আরও ৪০টি জায়গায় স্পিড ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ওই ক্যামেরার সঙ্গে থাকে গতি মাপার যন্ত্র, যাতে বেপরোয়া গাড়ি বা মোটরবাইকের গতি এবং নম্বর রেকর্ড হয়ে যায়।
বর্তমানে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল, এজেসি বসু রোড উড়ালপুল-সহ শহরের বিভিন্ন উড়ালপুল দিয়ে রাত দশটার পরে মোটরবাইক চলাচল নিষিদ্ধ। পুলিশের দাবি, আপাতত সুকান্ত সেতু কিংবা উল্টোডাঙা উড়ালপুলে গতি বেঁধে দিয়ে বেপরোয়া চালকদের রোখার চেষ্টা হল। তাতেও যদিও চালকেরা সংযম না দেখান, তা হলে আগামী দিনে রাত ১০টার পরে সেখান দিয়েও মোটরবাইক চলাচল নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy