প্রতীকী ছবি।
ট্র্যাফিক ব্যবস্থা নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম দশ মাসে কমল পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা। একই সঙ্গে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে।
লালবাজারের দাবি, ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শহরে পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২৩৪টি। যাতে মৃত্যু হয় ২৪৩ জনের। এ বার শেষ দশ মাসে কলকাতা পুলিশ এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ২১৭টি। যাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২২৩ জন। একই ভাবে লালবাজারের দাবি, চলতি বছর পথ দুর্ঘটনায় জখমের সংখ্যাও কমেছে ২০১৮ সালের তুলনায়। ওই বছরে প্রথম দশ মাসে দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিলেন ১৭৩৩ জন। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪৬০-এ।
‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্পের প্রচার এবং বিভিন্ন পরিকাঠামো ও নজরদারি বৃদ্ধির ফলেই ২০১৬ সাল থেকেই দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা কমছে বলেই কলকাতা পুলিশের দাবি। ট্র্যাফিক বিভাগের অনুমান, চলতি বছরের শেষে গত বারের তুলনায় কমবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তার মধ্যেও দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর পরিসংখ্যান কমের দিকে যাওয়ায় খানিকটা স্বস্তিতে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা। তবে বাসের ধাক্কায় মৃত্যুর সংখ্যা এখনও বেশি বলেই মেনে নিয়েছে লালবাজার। একই সঙ্গে বেপরোয়া গাড়ির গতির শিকার অনেকেই হচ্ছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে বেপরোয়া মোটরবাইক আটকাতে রাতের শহরে বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি করেছেন পুলিশের আধিকারিকেরা। যার ফলে রাতের শহরে দুর্ঘটনা কমেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি নজরদারি, স্পিড ক্যামেরার ফলে নিয়ন্ত্রণ হয়েছে গাড়ির গতি। দুর্ঘটনা কমার সেটিও অন্যতম কারণ বলেই দাবি পুলিশের। এ ছাড়াও ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন করলেই সঙ্গে সঙ্গে চালক বা মালিকের মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে অভিযোগের এসএমএস। তার জেরে চালক বা মালিকেরা এখন অনেকটাই সর্তক হয়ে গিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন বলে দাবি ট্র্যাফিক আধিকারিকদের।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তার কথায়,‘‘শহরের রাস্তায় পথ দুর্ঘটনা কমাতে কড়া ট্র্যাফিক আইনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করাও জরুরি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেই কাজ চলছে। চলন্ত বাসে ওঠা নামা করার সময়ে সর্তক থাকা প্রয়োজন সকলেরই।’’
তবে পুলিশের একাংশ জানিয়েছেন, ফেসবুক-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সতর্কবার্তা প্রচার করা হলেও যানবাহন চলাচলের মধ্য দিয়েই যত্রতত্র রাস্তা পার হওয়ার প্রবণতা এখনও কমেনি সাধারণ মানুষের। আর তার ফলেই চলতি বছর দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম হলেও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy