বিহারের অস্ত্র কারখানা থেকে উদ্ধার সামগ্রী। —নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারবার বন্ধ করতে এ বার ভিন্রাজ্যে অভিযান কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের। সোমবার রাতে পটনার এসটিএফের সঙ্গে বিহারের মাধারবা থানা এলাকায় রূপরহিমপুর গ্রামে এক যৌথ অভিযান চালান কলকাতা পুলিশের এসটিএফের অফিসাররা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরাও। সেই অভিযানেই রূপরহিমপুর গ্রামে এক বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিস পান এসটিএফের আধিকারিকেরা। অতর্কিত ওই হানায় কারখানার মালিক-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বন্দুক ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম।
এসটিএফ সূত্রে খবর, অখিলেশ কুমার কুশওয়া নামে ওই গ্রামেরই এক বাসিন্দার নামে চলছিল বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানাটি। সোমবার রাতের অভিযানে অস্ত্র কারখানার চার শ্রমিককে পাকড়াও করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম মহম্মদ চাঁদ ওরফে ডোমু, মহম্মদ সাহিল আলম, মহম্মদ ইরফান ও মহম্মদ পারভেজ় আলম। এ ছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে কারখানার মালিককেও। এসটিএফ সূত্রে খবর, ওই বেআইনি অস্ত্রের কারবারে অখিলেশের সঙ্গী ছিলেন অনিল কুমার যাদব। তাঁরও খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বিহারে সোমবার রাতের অভিযানে একটি ‘সেমি-অটোম্যাটিক’ আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে অর্ধেক তৈরি হওয়া সেমি অটোম্যাটিক পিস্তল ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার হয়েছে। স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের যৌথ অভিযানের পর মাধরবা থানার তরফে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বাংলায় বিভিন্ন ঘটনায় বিহার থেকে অস্ত্র এ রাজ্যে প্রবেশ করার তত্ত্ব উঠে এসেছে। বিশেষ করে, বিহারের মুঙ্গেরের কথা প্রায়শই উঠে আসে। মাস দেড়েক আগেই বিহারের নওদা থেকে এক দম্পতি অস্ত্র বিক্রি করতে এসে ধরা পড়েছিলেন হুগলির ভদ্রেশ্বরে। সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমও দাবি করেছিলেন, বিহার-সহ অন্যান্য রাজ্যের সীমানা হয়ে অস্ত্র ঢুকছে বাংলায়। পুলিশকে আরও সতর্ক নজরদারির পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy