—ফাইল চিত্র।
পুজো আসতে এখনও ঢের বাকি।
তার আগেই শহরে হাজির ‘পরিযায়ীরা’। এই পরিযায়ী কোনও পাখির দল নয়। এরা ভিন্ রাজ্যের সুন্দরী। যাদের কাজ পুজোর আগে বাজারে কেনাকাটার ভিড়ের সুযোগ নিয়ে হাতসাফাই করা। চলতি সপ্তাহেই লালবাজারের গোয়েন্দারা ওই ‘কেপমার’ দলের সন্ধান পেয়েছেন শহরে। অভিযোগের ভিত্তিতে বড়বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ তরুণীকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে হাতসাফাই করত। মহারাষ্ট্রের নাসিকের বাসিন্দা ওই তরুণীরা সপ্তাহ কয়েক আগে এ রাজ্যে এসে হুগলির ব্যান্ডেল এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত পাঁচ তরুণীকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই পুজোর আগে কেনাকাটার ভিড়ের সুযোগে হাতসাফাই করতে বাইরে থেকে বহু দুষ্কৃতী শহরে আসে। ধৃত তরুণীদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে কী ভাবে এই দল ‘আপারেশন’ চালাত। বাসে ঠাসা ভিড়ের সুযোগ নিয়ে ওই তরুণীরা কোনও যাত্রীর সোনার গয়না বা টাকা টার্গেট করত। তার পরে চলন্ত বাসেই নিখুঁত ভাবে হাতসাফাই করে বাস থেকে নেমে ভিড়ে মিশে যেত। গত মাসে বড়বাজার এবং জোড়াবাগান
থানায় এই ধরনের দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়। দু’টি অভিযোগেই অভিযোগকারীরা দাবি করেন, চলন্ত বাসের মধ্যেই তাঁদের ব্যাগ থেকেই তুলে নেওয়া হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দু’টি অভিযোগের তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ শাখার তদন্তকারীরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুই সন্দেহভাজন তরুণীকে শনাক্ত করেন। ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা ওই তরুণীদের আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের সম্পর্কে সবিস্তার খোঁজ নিতেই মহারাষ্ট্রের নাসিকের কেপমার দলটির সন্ধান পান পাওয়া যায়। মঙ্গলবার বড়বাজার থেকে ধরা হয় তাদের।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, আগে মূলত পুজোর কেনাকাটার ভিড়ে মিশে হাতসাফাই করত করত এরা। কিন্তু এ বার কেপমারেরা বেছে নিয়েছিল চলন্ত বাসের যাত্রীদের। একটি দলে দুই থেকে তিন জন করে তরুণী থাকত। দলের এক তরুণী প্রথমে ‘শিকারের’ পাশে গিয়ে গা-ঘেঁষে দাঁড়াত। এর পরেই যাত্রী অস্বস্তিতে সামান্য অসতর্ক হয়ে পড়লে সঙ্গে থাকা অন্য তরুণী হাতসাফাই করত।
এক তদন্তকারী জানান, মহারাষ্ট্র ছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ কিংবা গুজরাতের কেপমার দলও। তবে চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ওই দু’টি দলের সন্ধান গোয়েন্দারা পেয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy