(বাঁ দিকে) কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভ চৌধুরী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুরকাণ্ডে এ বার আসরে নামলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল স্বয়ং। তিনি নিজে ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী-সহ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে খবর। শনিবার লালবাজারে বিনীতের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় সৌরভদের। সেখানে কিছু ক্ষণ ধৃতদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। সৌরভের সঙ্গে এই ঘটনায় ধৃতদের আরও কয়েক জন ছিলেন।
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল এই সৌরভকেই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্র ছিলেন। প্রাক্তনী হিসাবে হস্টেলে থাকতেন। মৃত পড়ুয়াকে র্যাগিং করা হয়েছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে সৌরভের হাত ছিল বলে মনে করছে পুলিশ।
মৃত পড়ুয়ার বাবা যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেখানেও এই সৌরভের নাম ছিল। তাঁর সঙ্গে একটি চায়ের দোকানে আলাপ হয়েছিল মৃত ছাত্রের বাবার। অভিযোগ, সেই রাতে ছাত্রটি যখন মায়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সে সময় তাঁর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন সৌরভ। তিনি ছাত্রের মাকে জানান, তাঁর ছেলে ভালই আছে। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মৃত ছাত্রের মা এ-ও দাবি করেছিলেন যে, তিনি সৌরভের ফাঁসি চান।
সৌরভের পর এই ঘটনায় আরও দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্ত। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পড়ুয়া। তিন জনকে একসঙ্গে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁদের আগামী ২২ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সৌরভকে গ্রেফতারের আগে কসবা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তখনও পুলিশ কমিশনার তাঁর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছিলেন। এর পর শনিবারও সৌরভকে আলাদা করে জেরা করলেন বিনীত।
যাদবপুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সৌরভ, মনোতোষ, দীপশেখর ছাড়াও তাঁদের মধ্যে আছেন জম্মুর বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা আসিফ আফজল আনসারি (চতুর্থ বর্ষ, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অঙ্কন সরকার (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বাসিন্দা অসিত সর্দার (প্রাক্তনী), মন্দিরবাজারের সুমন নস্কর (প্রাক্তনী) এবং পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা সপ্তক কামিল্যা (প্রাক্তনী)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy