—প্রতীকী চিত্র।
এন্টালিতে বেআইনি বাড়ি ভাঙতে গিয়ে নিগৃহীত হলেন কলকাতা পুলিশ ও পুরসভার কর্মী-আধিকারিকেরা। বুধবার দুপুরে, এন্টালি থানা এলাকার শম্ভুবাবু লেনের ঘটনা।
এ দিন শম্ভুবাবু লেনে একটি ফ্ল্যাটের চারতলার অংশ ভাঙতে যান পুরসভার বিল্ডিং
বিভাগের কর্মীরা। সেখানে বাড়ির ওই বেআইনি অংশ ভাঙার কাজ শুরু হলে এক সময়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চারতলার বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন, ‘‘তিন বছর ধরে এখানে বসবাস করছি। অনেক কষ্ট করে ফ্ল্যাট কিনেছি। পুরসভা এত দিন পরে বাড়ি ভাঙতে এল কেন?’’ এমনকি, বাড়ি ভাঙার কাজে বাধা দিতে পুলিশ ও পুর আধিকারিকদের দিকে তেড়ে পর্যন্ত যান ক্ষুব্ধ মহিলারা। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ সূত্রের খবর, বাড়িটির তেতলা পর্যন্ত অনুমোদন ছিল। পুরসভার অনুমতি ছাড়াই চারতলা পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে। আবাসনের ওই বেআইনি অংশ সম্পর্কে পুরসভা জানতে পারার পরেই তা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ দিন এন্টালির ওই আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙার জন্য সেখানকার প্রবেশপথে
মোতায়েন ছিল এন্টালি থানার পুলিশবাহিনী। চারতলার ছাদে গিয়ে দেখা গেল, ছাদের একাংশ ভাঙার কাজ শেষ হয়েছে। তার পরেই চারতলার মহিলা বাসিন্দারা এসে পুলিশ ও পুর আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম হয়। বেগতিক দেখে বাড়ি ভাঙার কাজ থামাতে বাধ্য হয় পুলিশ ও পুরসভা। প্রায় দু’ঘণ্টা থাকার পরে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন পুলিশ ও পুরকর্মীরা। ওই বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ‘‘গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে ১৩ জনের মৃত্যু
হয়েছিল। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ওই বেআইনি বাড়ি ভাঙতে পেরেছিলেন কি? ওই বাড়ি কলকাতা পুরসভা আগে ভেঙে দিলে ১৩ জনের প্রাণ যেত না। আমরা অনেক কষ্টে চারতলায় ফ্ল্যাট কিনেছি। বৃদ্ধা মা, বোন থাকেন। বাড়ি ভাঙলে আমরা কোথায় যাব?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy