Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Road Safety Lessons

স্কুলগাড়ির চালকদের সচেতনতার পাঠ দিল পুলিশ এবং আইআইটি

স্কুলগাড়ির চালকদের সময় ধরে রাস্তায় নামার একাধিক কার্যকরী পরামর্শ দিলেন আইআইটি-র বিশেষজ্ঞ এবং কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক স্কুলের অফিসার ইন-চার্জ প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী।

An image of school bus

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ফিরোজ ইসলাম 
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৩ ০৬:০৭
Share: Save:

বাবার হাত ধরে বাঁ দিক দিয়ে রাস্তা পার হওয়া পড়ুয়ার উপস্থিতি টের পাননি চালক। তাতেই সম্ভবত পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বেহালার স্কুলপড়ুয়া সৌরনীল সরকারের।

বেহালার ওই দুর্ঘটনার পরে আলোচনায় উঠে এসেছে গাড়িচালকদের সামনের বাঁ দিকে থাকা ‘ব্লাইন্ড স্পট’-এর প্রসঙ্গ। শনিবার ‘পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে বিড়লা অ্যাকাডেমি অব আর্ট অ্যান্ড কালচারে আয়োজিত স্কুলগাড়ির চালকদের সচেতনতা শিবিরেও উঠল একই প্রশ্ন। খড়্গপুর আইআইটি-র অধ্যাপক তথা পরিবহণ এবং পথ নিরাপত্তা ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ ভার্গব মৈত্র ছাড়াও পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা এ দিন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতার বিষয় চালকদের সামনে নিয়ে এলেন। উঠল চালকদের মানসিক উদ্বেগ কমানোর কথাও।

গাড়ির বাঁ দিকে চালকদের দৃষ্টির বাইরে থাকা অংশ দেখার জন্য গাড়িতে উত্তল আয়না বসানোর কথা সম্প্রতি বলেছে পুলিশ। তবে, এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বাজারে বিশেষ ধরনের ক্যামেরা আসছে বলেও এ দিন জানান রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক সঞ্জীব পাইক।

এ দিন ভার্গব বলেন, গাড়ির গতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির যে আশঙ্কা থাকে, গাড়ির গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার হলে সেই আশঙ্কা ২০ গুণ বেড়ে যায়। আবার গাড়ির গতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চালকের দু’পাশের বিভিন্ন বস্তু দেখার পরিসরও ক্রমশ ছোট হতে থাকে। অস্বাভাবিক গতিতে গাড়ি ছোটালে চালক শুধু সামনের অংশটুকুই দেখতে পান। বেশি গতিতে গাড়ি ছোটানোর পরিস্থিতি এড়াতে স্কুলগাড়ির চালকদের সময় ধরে রাস্তায় নামার একাধিক কার্যকরী পরামর্শ দিলেন আইআইটি-র বিশেষজ্ঞ এবং কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক স্কুলের অফিসার ইন-চার্জ প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী।

স্কুলগাড়ি সময় মতো চালাতে হলে গাড়ির মালিক, চালক, পুলিশ, পরিবহণ দফতর, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট স্কুল— সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে বলে জানান ভার্গব।

স্কুলগাড়িতে টায়ার, ব্রেক ইত্যাদি যন্ত্রাংশ ঠিক রাখা ছাড়াও গাড়ির অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র এবং প্যানিক বাটন বসানোর গুরুত্বের কথা ব্যাখ্যা করেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিক সঞ্জীব। স্কুলগাড়ির চালকদের মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার উপায় সম্পর্কে অবহিত করেন মনোবিদ পূজা সেনগুপ্ত।

স্কুলগাড়ি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, ‘‘স্কুলগাড়ি চালাতে যেখানে সব থেকে বেশি সতর্ক থাকা উচিত, সেখানে এক শ্রেণির গাড়িতে সেই সতর্কতা থাকে না। এ নিয়ে চালকদের সচেতন করতেই বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE