প্রতীকী ছবি।
শহরাঞ্চলে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের উপরে সরকারি পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা কতটা জোরদার থাকবে, সংশয় দেখা দিয়েছে তা নিয়ে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতার ‘ডিস্ট্রিক্ট ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ব্যুরো’ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। বাঁকুড়ায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে ব্যুরোর অফিসার চিকিৎসক সজল বিশ্বাসকে। এই খবর জানাজানি হতেই নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
শহুরে মায়েদের স্বাস্থ্যের উপরে সরকারি নজরদারি কি তবে এ বার বন্ধই হয়ে যাবে, প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তার অবশ্য বক্তব্য, এই ব্যুরো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে নজরদারি না থাকার কোনও সম্পর্ক নেই। আলাদা ব্যুরো না থাকলেও স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা পদমর্যাদার এক ব্যক্তিকে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হবে। কলকাতার গর্ভবতী মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারি পর্যবেক্ষণ আগের মতোই থাকবে।
সম্প্রতি কেন্দ্রের রিপোর্ট জানিয়েছে, এ রাজ্যে গ্রামের তুলনায় শহুরে গর্ভবতী মায়েরা নানা সমস্যায় বেশি ভুগছেন। শহুরে মায়েদের স্বাস্থ্যের ছবি বদলের জন্য নজরদারি আরও শক্তিশালী করা জরুরি। ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা, ডেঙ্গির তথ্য গোপন কিংবা সরকারি চাকুরিরত চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষার মতো বিষয় নিয়ে বারবার প্রতিবাদ করেছেন সজলবাবু। তার জেরেই কি বদলি, উঠেছে প্রশ্ন। প্রতিবাদে সোমবার স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের সদস্যেরা। ফোরামের সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বদলি হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy