Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Kolkata Municipal Corporation

মালিকানাহীন জমির সংখ্যা জানতে সমীক্ষা পুরসভার

পুরকর্তাদের একাংশের মতে, মালিকানাহীন জমি সম্পর্কে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত এ বারইযে প্রথম, এমনটা নয়। এর আগেও এ নিয়ে একাধিক বার কথাবার্তা হয়েছে।

A Photograph of  Kolkata Municipal Corporation

ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩ ০৬:৫৭
Share: Save:

শহরে মালিকানাহীন, পরিত্যক্তজমির সংখ্যা কত— এ বার তার সমীক্ষা শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। মূল্যায়ন না হওয়া সম্পত্তি চিহ্নিত করে তার দ্রুত মূল্যায়ন করার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তারমধ্যে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে মালিকানাহীন, পরিত্যক্ত জমি। পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, মালিকানাহীন জমি নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় কি না, সমস্ত আইনকানুন মেনে পুরসভা ‌কী ভাবে এগোতে পারে— সে ব্যাপারে আধিকারিকদেরসঙ্গে কথা বলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুর আইনে এ ব্যাপারে কী প্রণিধান রয়েছে, সে সম্পর্কেও খোঁজখবর করা হচ্ছে।

পুরকর্তাদের একাংশের মতে, মালিকানাহীন জমি সম্পর্কে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত এ বারইযে প্রথম, এমনটা নয়। এর আগেও এ নিয়ে একাধিক বার কথাবার্তা হয়েছে। কিন্তু সে সম্পর্কে ন‌ির্দিষ্ট রূপরেখা বলতে যা বোঝায়, তারবাস্তবায়ন করা যায়নি। এর কারণ ব্যাখ্যা করে পুরকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, মালিকানাহীন জমি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে তখনই আসা যাবে যখন সংশ্লিষ্ট জমির সংখ্যামোটামুটি কত, সে ব্যাপারে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। মূল্যায়ন না হওয়া সম্পত্তির চিহ্নিতকরণের কাজকরতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, মালিকের হদিস নেই, এমন বহু জমি শহরের অনেক জায়গায় রয়েছে। পুর প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘মালিকানাহীন জমি চিহ্নিত করে পুরসভা তাতে বোর্ড টাঙিয়ে দেবে। এমনটাই প্রাথমিক ভাবে আলোচনা হয়েছে। তার পরে ওই জমি পুরসভা স্থানীয় এলাকার প্রয়োজনে বা পুর পরিষেবার উন্নয়নে কী ভাবে ব্যবহার করতে পারে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

এমনিতে ফাঁকা জমি-সহ মূল‌্যায়ন না হওয়া সম্পত্তি নিয়ে একাধিক বার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরকমিশনারের অফিস থেকে। এই কাজ সুষ্ঠু ভাবে করার জন্য ২০২১ সালের নভেম্বরে পুরসভার মূল্যায়ন ও রাজস্ব সংগ্রহ (অ্যাসেসমেন্ট-কালেকশন) দফতরের আধিকারিকদের মধ্যেনির্দিষ্ট ক্ষমতা বণ্টন করা হয়। জমি/বাড়ির মিউটেশন, জমি/বাড়ির পুনর্মূল্যায়ন, ঠিকা সম্পত্তি, ওয়াকফ সম্পত্তি, কলোনি এলাকার জমি/বাড়ির মূল্যায়ন সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করাই ওই ক্ষমতা বণ্টনের উদ্দেশ্য। সেখানে মূল্যায়ন না হওয়া সম্পত্তির পাশাপাশি, ফাঁকাজমির প্রসঙ্গেরও উল্লেখ ছিল। এই কাজের জন্য প্রশাসনিক ক্ষমতার ত্রিস্তরীয় বণ্টন হয়েছে পুরকর্তাদের মধ্যে। পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, পাঁচ কাঠা জমি পর্যন্ত ফাঁকা জমির মূল্যায়নেরবিষয়টি দেখার দায়িত্ব রয়েছে পুর রাজস্ব ও কর সংগ্রহ দফতরের সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্তপুরকর্তার (অ্যাসেসর-কালেক্টর) কাঁধে। পাঁচ কাঠার বেশি থেকে ১৫ কাঠা পর্যন্ত এবং ১৫ কাঠার বেশি ফাঁকা জমির মূল্যায়নের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব যথাক্রমে পুর রাজস্ব দফতরের চিফ ম্যানেজার এবংবিশেষ পুর কমিশনারের (রাজস্ব)। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘এক জনের উপরে সব দায়িত্ব যাতে এসে না পড়ে, তাই এই সিদ্ধান্ত। এ ক্ষেত্রে ফাঁকা, মালিকানাহীন জমি চিহ্নিতকরণ ও তার মূল্যায়নের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy