শহরে বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আর দেরি করতে চায় না কলকাতা পুর প্রশাসন। এ ব্যাপারে আজ, মঙ্গলবার পুরভবনে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠক করবেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সোমবার মেয়র স্পষ্ট বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নির্দিষ্ট ভাবে বলে দিয়েছেন শহরে বিপজ্জনক বাড়ি রাখা যাবে না। ইতিমধ্যেই তৃণমূল সরকার পুরসভার বিল্ডিং আইনের ১৪২ ধারায় অনেক সুবিধা দিয়েছে। সেই আইনেও সংযোজন এবং সংশোধন করতে হবে। তাতে সমস্যা সমাধানের পথ সুগম হবে।’’ তিনি জানান, সেই পথ ধরেই এগোনো হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুজোর আগে পাথুরিয়াঘাটায় বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে দু’জনের মৃত্যু হয়। তার পরেই শহরের বিপজ্জনক বাড়িগুলি নিয়ে টনক নড়ে পুর কর্তৃপক্ষের। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মেয়রকে নির্দেশ দেন।
পুরসভার নথি বলছে, এত দিন বিপজ্জনক বাড়িতে নোটিস ঝুলিয়েই বসে থাকত পুর প্রশাসন। সেই বয়ানে মূলত বাড়ির মালিককে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হতো। কিন্তু তাতে তেমন কাজ হয়নি। বরং, বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা বেড়েই গিয়েছে। বিল্ডিং দফতরের হিসেব অনুযায়ী, সেই সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এর মধ্যে কয়েকটির হাল এতই খারাপ যে সেগুলির পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে আতঙ্ক হয় পথচারীদেরও। এ ব্যাপারে পুর প্রশাসনের জবাব ছিল, কাউকে সরিয়ে বাড়ি ভাঙা যাবে না। মানবিকতার খাতিরেই এত বছর চুপ থাকতে হয়েছে।
কিন্তু পাথুরিয়াঘাটার ঘটনা ও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ তাঁদের স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটতে বাধ্য করেছে বলে মনে করছেন একাধিক আমলাই। সোমবার মেয়র জানান, বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজতে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম বৈঠকে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিচারপতি প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কমিটি গড়া হয়। তার রিপোর্ট জমা পড়েছে। শোভনবাবু বলেন, ‘‘কাজ শেষ পর্যায়ে। শীঘ্রই পুরসভার পাশ করা প্রস্তাব বিলের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। তা আইন করতে সরকার বিধানসভায় পেশ করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy