২০২৩-এর মার্চ নাগাদ কলকাতার বাজে কদমতলা ঘাটে শুরু হয়েছিল গঙ্গা আরতি। —নিজস্ব চিত্র।
বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গা আরতি দেখে আসার পর তা কলকাতাতেও চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি সেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরেই মেয়র পারিষদ তারক সিংহ মারফত সেই কাজ শুরু করেন তিনি। ২০২৩-এর মার্চ নাগাদ কলকাতার বাজে কদমতলা ঘাটে শুরু হয়েছিল গঙ্গা আরতি। মুখ্যমন্ত্রীই সেই আরতিপর্বের সূচনা করেছিলেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিদিন সন্ধ্যায় এই আরতি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এ বার সেই বাজে কদমতলা ঘাট থেকে গঙ্গা আরতি সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে এমনটাই খবর।
মাত্র এক বছরের মধ্যেই বাজে কদমতলা ঘাটের এই গঙ্গা আরতি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গবাসীরা তো বটেই, দেশ-বিদেশ থেকেও পর্যটকরা এখন বাজে কদমতলা ঘাটে এই আরতি দেখতে আসছেন। প্রায় প্রতিদিনই গঙ্গা আরতি দর্শনার্থীদের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। যা কলকাতা পুরসভা তো বটেই, কলকাতা পুলিশ প্রশাসনের কাছেও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই আরতির স্থান বদলের পরিকল্পনা শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। বাজে কদমতলা ঘাটের পরিবর্তে মিলেনিয়াম পার্ক চত্ত্বরে এই অনুষ্ঠান নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেই পুরসভা সূত্রে খবর। কলকাতা পুরসভা তরফে এই গঙ্গা আরতি আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘দেবোত্তর জয়চণ্ডী ঠাকুরানি ট্রাস্ট’কে। স্থান বদল হলেও, তাদের হাতেই থাকবে আরতির দায়িত্ব।
জায়গা বদলের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন ঘাটে আবার পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে বলেই মনে করছে কলকাতা পুরসভা প্রশাসনের একাংশ। কারণ, আরতির জন্য এই ঘাটেই তৈরি করা হয়েছে গঙ্গাদেবীর মূর্তি সমেত মন্দির। দর্শনার্থীদের জন্য কেনা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে চেয়ার। প্রতি শনিবার শুরু হয়েছে ভোগ বিতরণও। এ ছাড়াও, গঙ্গা আরতির উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে পুরসভার তরফে। তাই এ বার মিলেনিয়াম পার্কে আরতি স্থানান্তরিত হলে নতুন করে পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘এক বছরও হয়নি, কলকাতার গঙ্গা আরতি অনুষ্ঠান যে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে, তার প্রমাণ আমরা প্রতিদিনের ভিড় থেকে পেয়েছি। তবে আরতি দেখতে এসে উপচে পড়া ভিড়ে বহু মানুষ দু’দিকে দাঁড়িয়ে থাকেন। দাঁড়িয়ে আরতি দেখতে যথেষ্ট অসুবিধা হয়। তাই দর্শকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই ঘাট পরিবর্তনের প্রাথমিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’ তবে ঘাট বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েও এখন কলকাতা বন্দর ও সেনা কর্তৃপক্ষের অনুমতির পরেই এ বিষয়ে পাকাপাকি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy