কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের এক নেতাকে দলেরই এক জন পুরপ্রতিনিধির চড় মারার ঘটনায় বুধবার চার জনকে গ্রেফতার করল লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা। ধৃতদের নাম অনিল দাস, সন্তোষ সিংহ, টাবলু অধিকারী এবং দেবাশিস দাস। এদের মধ্যে অনিল ও সন্তোষ ওই তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অন্য দিকে, টাবলু ও দেবাশিসের পরিচিতি রয়েছে পুরপ্রতিনিধির অনুগামী হিসাবে। এ দিনই ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাদের জামিন দেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত শোভাবাজারের ঢুলিপাড়ায় ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি কেদার দাসকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে খোদ পুরপ্রতিনিধি সুনন্দা সরকারের বিরুদ্ধে। পাল্টা সুনন্দাও অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী ও দলের এক কর্মীকে মারধর করেছেন কেদারের অনুগামীরা। দু’তরফেই বড়তলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বুধবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট বলেন, ‘‘ওই পুরপ্রতিনিধি যে আচরণ করেছেন, তা দল একেবারেই ভাল চোখে দেখছে না। এক জন পুরপ্রতিনিধি হয়ে ওঁর এমন আচরণ কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। দল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’’
তবে, এ দিনও নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন সুনন্দা। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামীর গায়ে যদি কেউ হাত দেয়, আমি কি চুপ করে থাকব? প্রতিবাদ করব না? শুধু আমার স্বামী নন, দলের এক কর্মীকেও মারধর করছিল ওরা। বাধ্য হয়ে আমি বলপ্রয়োগ করি।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। অতীতেও পুরপ্রতিনিধির সঙ্গে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর ঝামেলা হয়েছে। স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা রোহিত সোনকরের অভিযোগ, ‘‘বেআইনি নির্মাণ থেকে শুরু করে অবৈধ পার্কিং, সাট্টা থেকে তোলা আদায়ে যুক্ত কাউন্সিলর। প্রতিবাদ করায় আমাদের উপরে উনি হামলা চালিয়েছেন।’’ যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে সুনন্দা বলেন, ‘‘যারা আমার নামে অপবাদ দিচ্ছে, তারাই বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy