রামকৃষ্ণ মিশন রেজিস্ট্রি করা হয় ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ মে। এই বছরেই মানিকতলা বোমার মামলার অন্যতম দুই অভিযুক্ত দেবব্রত ও শচীন শ্রীরামকৃষ্ণ সঙ্ঘে যোগ দিতে আসেন। মামলায় তাঁরা নির্দোষ প্রমাণিত হন, শ্রীমা সারদা দেবী তাঁদের মন্ত্রদীক্ষা দিয়েছিলেন, তবু স্বামী সারদানন্দ ছাড়া কর্তৃপক্ষস্থানীয় কেউই তাঁদের মঠে নিতে সাহস পাচ্ছিলেন না। স্বামী সারদানন্দ তাঁদের পক্ষ নিলেন, তাঁদের কাজের জন্য নিজে দায়ী থাকবেন বলে মঠাধ্যক্ষ ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুমতিও আদায় করলেন। পরেও এমন ঘটনা আরও ঘটেছে, তবে তাঁর বিশ্বাসের হানি কেউই করেননি, লিখেছেন ব্রহ্মচারী অক্ষয়চৈতন্য (‘স্বামী সারদানন্দের জীবনী’)। বস্তুত বিপ্লবীদের মঠে স্থান দেওয়ায় ইংরেজ পুলিশের নজর সেখানে পড়ে। শেষে স্বামী সারদানন্দের (শরৎ মহারাজ) অক্লান্ত চেষ্টাতেই লাটসাহেব লর্ড কারমাইকেলের মনোভাব পরিবর্তিত হয় এবং নবীন সংগঠনটি রক্ষা পায়। স্বামী প্রভানন্দের কথায়, ‘‘রামকৃষ্ণ সঙ্ঘে স্বামী সারদানন্দ বিশেষ চিহ্নিত ব্যক্তি। তিনি প্রায় ত্রিশ বছর রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের একাধারে ব্যবস্থাপক এবং উচ্চকোটির অধিনায়করূপে সমাদৃত।’’ শ্রীমা সারদা দেবী বলেছিলেন, ‘‘শরৎ হচ্ছে আমার ভারী’’। স্বামীজি তাঁকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন প্রচারকার্যের জন্য, আবার স্বদেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন সঙ্ঘ-পরিচালনকার্যের উদ্দেশ্যে। স্বামী তূরীয়ানন্দের কথায় এই ভার বহনের বিপুলতা অনুমান করা যায়— ‘‘স্বামীজির পর শরতের মতো এত পরিশ্রম— সারাটি জীবন মুখ বুজে এমন রক্তক্ষয়ী পরিশ্রম আর কেউ করেনি। এত হাঙ্গামা কেউ পোয়ায়নি।’’ এই ভূমিকা মনে রেখেই জোসেফিন ম্যাকলাউড তাঁকে বলতেন, ‘সেকেন্ড স্বামী’। সঙ্গে বাঁ দিকে আমেরিকায় যুবক স্বামী সারদানন্দ, ডান দিকে প্রবীণ বয়সে।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সূত্রধর এবং ভারতীয় সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকার বিভাগ, রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির, বেলুড় মঠের যৌথ আয়োজনে ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় বিদ্যামন্দিরের বিবেকানন্দ সভাগৃহে ‘রামকৃষ্ণ ভাবলহরীতে স্বামী সারদানন্দ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। প্রারম্ভিক কথক স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানন্দ, সভাপতি স্বামী সুবীরানন্দ। সভায় ‘স্বামী সারদানন্দের দৃষ্টিপটে দিব্য-দ্বয়’ বিষয়ে বলবেন সোমনাথ ভট্টাচার্য, ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ-এ নরেন্দ্রনাথ’ বিষয়ে দেবাঞ্জন সেনগুপ্ত। অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হবে স্বামী সারদানন্দ রচিত ‘জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয়’, প্রকাশচন্দ্র-এর লেখা শরৎ মহারাজের আদি জীবনী ‘স্বামী সারদানন্দ’ (৮৪ বছর পর পুনঃপ্রকাশিত সংস্করণ, ভূমিকা: স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানন্দ) এবং প্রণবকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বামী সদানন্দ’ বই তিনটি। অনুষ্ঠান সূচনার আগে স্বামী সারদানন্দের প্রিয় সঙ্গীত পরিবেশন করবেন স্বামী একচিত্তানন্দ।
ছবিতে কাননদেবী
ছোটবেলায় একবার রবীন্দ্রনাথকে সামনে থেকে দেখেছিলেন তিনি। ভিড়ের মাঝে তাঁকে প্রণাম করবার পর জিজ্ঞাসা করেন ‘গান জানো’। সঙ্গের লোকেরা সম্মতি জানাতেই গুরুদেব বলেন, ‘শান্তিনিকেতনে এসো, গান শুনবো’। অথচ, রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষরিত একটি ছবি তাঁর কাছে ছিল বলে পরবর্তীতে সমাজের বিদ্বজ্জনের মধ্যে ‘অন্যরকম কথা’ উঠেছিল। ফলে রবীন্দ্রনাথের গান গাইতে গেলে তখন বড় দ্বিধা হত তাঁর, পাছে তা কলুষিত হয়, এই ভেবে! পরে অবশ্য সব দ্বিধা কাটিয়ে উঠেছিলেন তিনি। কাননবালা থেকে সুন্দরী অভিনেত্রী, গায়িকা বা প্রযোজক কাননদেবী (১৯১৬-১৯৯২) হয়ে ওঠার পথে এমত অনেক সামাজিক বাধা পেরোতে হয়েছিল কাননদেবীকে, বলছিলেন গবেষক তৃণা নিলীনা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পীর পারিবারিক সূত্র থেকে পাওয়া বেশ কিছু অদেখা ছবি থেকে বেছে নেওয়া ৭৩টি আলোকচিত্র নিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর গ্যালারি ৮৮-এ শুরু হয়েছে একটি প্রদর্শনী ‘কাননদেবী: রিমেম্বারিং আ লস্ট আর্কাইভ’ শীর্ষকে। ছবিগুলি সযত্নে রাখা ছিল রুবি ভট্টাচার্যের কাছে। এটি কিউরেট করেছেন জিগীষা ভট্টাচার্য। সকাল ১১-৭টা (সোমবার ২টো থেকে), চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সঙ্গের ছবি ছেলে সিদ্ধার্থকে নিয়ে কাননদেবী, প্রদর্শনী থেকে।
ভয়ের গল্প
এক প্রজন্মের কাছে যিনি ছোটদের জনপ্রিয় লেখক, আর এক প্রজন্মের কাছে তাঁর পরিচিতি বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক ও গল্পকার হিসেবে। হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ২৩ মার্চ ১৯১৬, কলকাতার ভবানীপুরে। জন্মের কয়েক বছর পরে চলে আসেন বর্মায়। রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করে রেঙ্গুন কোর্টে আইনজীবীর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ফিরে আসতে হয় ভবানীপুরের পৈতৃক বাড়িতে। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘ইরাবতী’, ১৯৪৮ সালে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয় ‘দেশ’ পত্রিকায়। ছোটদের জন্য লেখা বইয়ের মধ্যে অন্যতম ভয়ের মুখোশ ও পাথরের চোখ। তাঁর কাহিনি থেকে অনেক সিনেমা হয়েছে। নাটকে অভিনয় করতে ভালবাসতেন। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসংখ্য জনপ্রিয় রম্যনাটক হরিনারায়ণবাবুর লেখা। ১৯৮১ সালের ২০ জানুয়ারি প্রয়াত হন তিনি। তাঁর যাবতীয় ভয়ের গল্প এ বার দুই মলাটে। ‘বুক ফার্ম’ থেকে প্রকাশিত হচ্ছে হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ভয় সমগ্র’। ২১ ডিসেম্বর সাহিত্যিক মনোজ সেনের হাতে বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ রিড বেঙ্গলি বুক স্টোরে, সন্ধে ৬টায়।
বাবু-বিবি সংবাদ
বিত্তশালী বাবুদের বিনোদবৃত্তেই কাল কেটেছে উনিশ শতকের ঔপনিবেশিক কলকাতার। কালের যাত্রায় মঞ্চগানের অনুষঙ্গে মিলেছে নটী-বিবিদের বিলাস-সঙ্গ। কখনও চপলতা, কখনও দেহতত্ত্ব, কখনও সানুভব, আবার কখনও বা সমকাল— গানের বিচিত্র বিস্তার ঘিরে গড়ে উঠেছে বাবু-বিবির জীবনগাথা। উনিশ থেকে বিশ শতকের মঞ্চজীবনের আলো-আঁধারিতে বিনোদিনী-কুসুমকুমারী-গহরজান-বেদানা দাসী-নরিসুন্দরী-প্রভা-কঙ্কাবতী-কাননবালা-ইন্দুবালাদের বিরল গীতধারায় ‘রবিবাবুর গান’, ‘দ্বিজুবাবুর গান’-এর পাশাপাশি ভারতচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্র, গিরিশচন্দ্র থেকে কাজী নজরুল পেরিয়ে অজিতেশের রচনায় মুখর হয়েছে বাবু-বিবির রকমফের চরিত্র-গান। ইতিহাস-উপেক্ষিত এমত মঞ্চগানের নাচ-পাঠ-সজ্জা সংবলিত অপেরাধর্মী উপস্থাপনা ‘বাবু-বিবি সংবাদ’। বিষয়-ভাবনা ও গানে ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রচনা-নির্মাণ ও গানে দেবজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাজপোশাক এবং পাঠে শর্বরী দত্ত। একাডেমি থিয়েটার এবং ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় মিউজ়িক একাডেমির যৌথ প্রযোজনায় আসর বসবে আইসিসিআরের সত্যজিৎ রায় প্রেক্ষাগৃহে, ১৯ ডিসেম্বর সন্ধে ৬টায়।
অমিতার গল্প
রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন তাঁর গান কেবল কণ্ঠের কুশলতা নয়, তাঁর অন্তরের সম্পদ। দিনেন্দ্রনাথের প্রথম দিকের অন্যতমা ছাত্রী, এই অমিতা সেন আশ্রমের সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন খুকু নামে। শান্তিনিকেতন আশ্রমে পড়াশুনোর পর কলকাতার সিটি কলেজ থেকে ১৯৩৪ সালে সংস্কৃতে স্নাতক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতে স্নাতকোত্তর পড়াশুনো। প্রণয় ও বিয়ের পর থেকেই বদলাতে থাকে তাঁর জীবনের ধারা। রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু গান রেকর্ড করেন। কবির ডাকে যোগ দেন সঙ্গীত ভবনে শিক্ষকতায়। হঠাৎ করে ছেড়েও দেন। কবি আর অমিতার সম্পর্কে ঘনিয়ে ওঠে কেমন এক তিক্ততা। ১৯৪০ সালে, মাত্র ২৬ বছর বয়সে দুরারোগ্য অসুখে ঢাকায় জীবনাবসান হয় অমিতার। তাঁর জীবন নিয়ে রবীন্দ্রনাথ লেখেন ‘প্রগতি সংহার’। অমিতার জীবন, তাঁর গান গাওয়া ও গান থামা নিয়ে গানে কথায় এক মঞ্চ উপস্থাপনার আয়োজন করেছে ‘পুনশ্চ’। ২২ ডিসেম্বর, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে, সন্ধে ৬টায়। অনুষ্ঠান পরিচালনায় কৃষ্ণেন্দু সেনগুপ্ত।
শতবর্ষে দার্শনিক
অধ্যাপক কালীকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯১৯-১৯৮৩) ছিলেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় সমসাময়িক দার্শনিকদের অন্যতম। তিনি ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য উভয় দর্শনেই তাঁর পাণ্ডিত্য ছিল। কিছু দিন বঙ্গবাসী কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার পরে দীর্ঘ দিন তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনবিভাগের প্রধান ছিলেন, পরে কলা বিভাগের ডিন ও কিছু কাল অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসেবেও কাজ করেন। সাহিত্যরসিক, সুবক্তা ও ছাত্রবৎসল এই অধ্যাপক ১৯৭৭ সালে গুয়াহাটিতে ভারতীয় দর্শন কংগ্রেস-এর সাধারণ সভাপতি নির্বাচিত হন। লিখেছেন ন্যায়তত্ত্ব পরিক্রমা, ফিলজ়ফি অ্যান্ড হিস্টরি অব ফিলজ়ফি ছাড়াও বিপুল সংখ্যক গবেষণাপত্র। শতবর্ষে ২০ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে কালীকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দর্শন চিন্তার উপর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
গল্পের উৎসব
হিমেল কলকাতার আরাম রোদ্দুর পিঠে মেখে ২০ ডিসেম্বর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্রাঙ্গণে দিনভর চলবে গল্পের উৎসব। গল্প বলা, গল্প শোনা, গল্প দেখা, গল্প চাখা, গল্পের নাচ, গল্পের গান, গল্পের ছবি সব মিলবে। ঠিক দুক্কুর বেলা ভূতের গল্প, সাতসকালে কবিতার গল্প, মিঠে রোদে হাসির গল্প, মধ্যাহ্নে খাবারের গল্প, ছায়া মেখে দেশ বিদেশের গল্প, দাদু দিদিমাদের সঙ্গে খোকাখুকুদের গল্প আসর সব চলবে। সঙ্গে থাকবে কর্মশালা, মাইম, পুতুল নাচ, প্রতিযোগিতা, পুরস্কার, বাছাই গল্প বই হয়ে প্রকাশের সম্ভাবনা। গল্প শোনাবেন শ্রীকান্ত আচার্য, লোপামুদ্রা মিত্র, প্রমিতা মল্লিক, শাহেনশাহ মির্জ়া, অনুভা ফতেপুরিয়া। নিজেদের লেখা পড়ে শোনাবেন জয়া মিত্র, শ্রীজাত, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। অভিনয়ের গল্প শোনাবেন শান্তিলাল, উজ্জ্বল, শুভান্বিতা, দেবাংশু। কর্মশালা পরিচালনায় মৌসুমী ভৌমিক, সোহিনী চক্রবর্তী, শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য এবং অর্ণা-মঞ্জীর। আয়োজনে ভিক্টোরিয়ার সৌজন্যে বন্ধু,মিউজ়িয়ানা ও যদি বল রঙিন।
নাট্য-উদ্যোগ
দুই দশকের উপর বিভিন্ন ভাষার একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা আয়োজন করে চলেছে ভবানীপুরের নাট্যসংস্থা কলাক্রান্তি। এই বছর তাঁদের প্রতিযোগিতার ২৬তম বছর। ২১ ও ২২ ডিসেম্বর, রাসবিহারীর মুক্তাঙ্গন রঙ্গালয়ে দুই দিন ধরে বারোটি নাটক মঞ্চস্থ হবে। দশটি বাংলা নাটক ও দু’টি ভিন্ ভাষার নাটক। কেরল কালচারাল ফোরাম গোষ্ঠী একটি মালয়ালম ও থিয়েটার ফর্মেশন পরিবর্তক একটি ইংরেজি নাটক মঞ্চস্থ করবে। ২১ ডিসেম্বর সন্ধে ৬টায় প্রতিযোগিতার সূচনা করবেন প্রাক্তন বিচারপতি সৌমিত্র পাল। তার আগে সন্ধে সাড়ে ৫টায় জহর রায়কে নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন।
নারীর মঞ্চ
বাংলার গ্রামেগঞ্জে, জেলায় রাজ্যে নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত অগণিত মহিলা। কেউ মগ্ন অভিনয়ে, কেউ চিত্রনাট্যরচনায়, কেউ বা নির্দেশনায়। এই মহিলাদের সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দিতে চায় মানিকতলা দলছুট গোষ্ঠী। তাঁদের উদ্যোগে ও সঙ্গীত নাটক অকাদেমির আর্থিক সহায়তায় আয়োজিত হতে চলেছে দ্বিতীয় উদীয়মান নারীর মঞ্চ। গত বছরের মতো এবারও এই উৎসবে বেশ কিছু নাটক মঞ্চস্থ হবে। কন্যা বিশ্রী, তাহার নামটি রঞ্জনা, বৃষ্টি, স্ত্রীলিঙ্গ অতএব, কান্না, মুক্তধারা, শাস্তি প্রভৃতি নাটকগুলির উপজীব্য নারী, বহু ক্ষেত্রেই নির্দেশক ও প্রযোজক মহিলা। ১৯-২২ ডিসেম্বর, বিকেল ৪-৯টা, গোবরডাঙা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে চলবে উৎসব।
বিজনহীন
বাবা বিনোদবিহারী ঘোষরায় ছিলেন শিলাইদহ কুঠিবাড়ির এস্টেটের ক্যাশিয়ার। সেই সুবাদেই রবীন্দ্রনাথ তাঁর পুত্রের নাম রাখেন ‘বিজন’। সেই বিজন পরে আনন্দবাজার পত্রিকার নিউজ ডেস্কে তাঁর সহকর্মীদের জানাবেন, তাঁর নাম রাখা হয়েছিল গোবর্ধন। কবি তা খারিজ করে নাম দেন বিজন। ওই নিউজ ডেস্কেই তিনি এক দিন ঢাকুরিয়ার কাকদের শতমুখে প্রশংসা করে বললেন, মেয়ের হাত থেকে জিলিপি কেড়ে নিয়েছিল একটা কাক। মেয়েকে কাঁদতে দেখে সে আবার জিলিপি ফেরত দিয়ে গেল। বিজন মানেই প্রসন্নতা। বাজার সরকার বিজনকুমার ঘোষরায় পত্রিকায় বিভিন্ন জায়গার বাজার দরের নীরস হিসেব দাখিল করতেন না। সেই জায়গাটিকেও যেন হাসি মুখে উপস্থিত করে দিতেন। এই সব লেখা বই আকারে সঙ্কলিত হয়েছে। তাঁর হাতটি ছিল বড়ই স্বাদু। ছোট বড় সকলের কাছেই তা জানা। তাঁর ‘সাঁতারু হারু’ এক কুমিরের কাহিনি। বেরিয়েছিল আনন্দমেলা পত্রিকায়। তাঁর চলে যাওয়ার কয়েক দিন আগে বার হল হারু সমগ্র (দ্য কাফে টেবল)। তাঁর আরও কিছু বই— মাছে ভাতে বাঙালি, সুন্দরবনের ভয়ঙ্কর বাঘ, সেই দিনগুলি রাতগুলি, বিরল প্রতিভা বিদ্যাসাগর। তাঁর বাড়ির নাম শিলাইদহ। সেই শিলাইদহ এক সোমবার বিজনহীন হয়ে গেল। তাঁর বয়স হয়েছিল পঁচাশি।
জাপানি শিল্প
জাপানি পোশাক কিমোনো-তে কোনও পকেট থাকে না! তাই প্রয়োজনীয় ছোট জিনিস রাখবার জন্য শিল্পীরা তৈরি করেছিলেন বিশেষ ধরনের একটি বাক্স বা কৌটো। রেশমের দড়ি দিয়ে যেটি বাঁধা থাকে পোশাকের সঙ্গে। দড়ির মাথায় সংযুক্ত থাকে সুপারির মতো ছোট্ট একটি গুটি। এই হল নেৎসুকে, যাতে উৎকীর্ণ থাকে অতি সূক্ষ্ম নানাবিধ শিল্প-ভাস্কর্য। নেৎসুকের উদ্ভব সতেরো শতকের এডো পর্বে। হাতির দাঁত ছিল প্রাথমিক উপকরণ কিন্তু পরে এটি নিষিদ্ধ হওয়ায় শিল্পীরা বেছে নেন ধাতু, কাঠ, ঝিনুক, শিং, পোর্সেলিন ইত্যাদি বিচিত্র উপাদান। পশ্চিমি প্রভাবে হারিয়ে গেলেও ধীরে ধীরে আবার ফিরে আসে শিল্পটি, সারা বিশ্বে এর চাহিদা এখন তুঙ্গে। এমত বিভিন্ন ধরনের ৮৩টি শিল্পকর্ম নিয়ে ‘নেৎসুকে’ শিরোনামে একটি প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছে ভারতীয় সংগ্রহশালার প্রি-হিস্টরি গ্যালারিতে। ভারতীয় সংগ্রহশালার সঙ্গে জাপান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এবং জাপান কনস্যুলেটের ব্যবস্থাপনায় এই প্রদর্শনী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত, ১০-৬.৩০ এবং শনি–রবি রাত ৮টা।
কবিতাস্কোপ
এ বার কবিতা এবং অভিনয় মিলে যাচ্ছে। কবিতাকে ড্রয়িং রুম থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মানুষের মাঝে। কবিতা কি শুধু বিদগ্ধ জনের শোনার জন্যে গৃহবন্দি হয়ে থাকবে? তাই বাড়িতে, রাস্তায়, গাড়িতে, মঞ্চে যে কোনও জায়গায় কবিতা তার মতো করে বেরিয়ে আসতে পারে। সমাজ, পরিবার, সম্পর্কের যে কোনও কথা অকপটে বলবে ‘কবিতাস্কোপ’। এই অনুষ্ঠানে কবিরা নতুন রূপে উপস্থিত হবেন। প্রতিটি মুহূর্তই একটি চরিত্র। আবৃত্তিকার সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় সাত বার করেছেন কবিতাস্কোপ। এ বারের ভাবনা অন্য আঙ্গিকে। ‘কবিতাস্কোপ ঘরে বাইরে’, ২২ ডিসেম্বর রবীন্দ্রসদনে সন্ধে সাড়ে ৬টায়।
বাজারে আগুন
ডিসেম্বর মাস দ্বিতীয়ার্ধে হেলল, বাজারের হেলদোল নেই। কে জানত, মরসুমি তরিতরকারি এ ভাবে কাঁদাবে? বাঁধাকপি ৪০, কমপক্ষে। ফুলকপিও ৩৫-এর নীচে নেই। আসছে গরমে মনে হয়, বাড়িতে বিয়ে লাগলে গয়নার বদলে সব্জি দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবশ্য নিয়মিত গাড়ি পাঠাচ্ছে। সেখানে ভারী করুণ দৃশ্য। ভোর সাড়ে ছ’টা থেকে সাতটার মধ্যে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ির বয়স্কদের। গাড়ি আসতে সাড়ে ন’টা। মধ্যবিত্তের কাছে অপেক্ষার কি কোনও বিকল্প আছে? আর বাজারে গিয়ে দরদস্তুর করেই বা কী লাভ? কবি সুবোধ সরকারের মতে, ‘পেঁয়াজ নিয়ে স্পষ্ট রাজনীতি হচ্ছে। শীতের আনাজের দাম বেশি হওয়া অন্তত এই মুহূর্তে উচিত নয়।’ মন খারাপ করে বলছেন লেক মার্কেটের মধুবাবু, ‘পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করা বন্ধ করেছি। মনে হচ্ছে, তরকারিও তাই করতে হবে। খদ্দেরই নেই। কোথায়, কাকে বেচব?’ বারাসতের শেখ আরিফুল বা যাদবপুরের সিদ্ধার্থ গিরি এঁরা সংসারী। তার সঙ্গে নিরামিষ খেতে পছন্দ করেন। দু’জনেরই সকরুণ প্রশ্ন, ‘নিরামিষাশী হয়ে খুব ভুল করেছি কি?!’ বৈষ্ণব বা বাউল গানে বলে, এক রকমের আগুন আছে, যা পোড়ায় কিন্তু দেখা যায় না। রোমান্টিকতা গিয়েছে, বাজারে সেই আগুনই লেগেছে। শুধু ধোঁয়াই দেখা যাচ্ছে না।
বিরল গান
জীবনের প্রতিটি সুখ, দুঃখ, উল্লাসে, যন্ত্রণায় আজও আমাদের ছুঁয়ে থাকেন তিনি। তাঁর কোন গানটি যে কম হিট, কোন গান যে ভোলা চলে না বলা শক্ত। তবু তিনি কিশোরকুমার। প্রশিক্ষণ বিনাই বিস্ময়কণ্ঠ, তলবিহীন সঙ্গীতসমুদ্র। সেই সাগরে এতই সুরসম্পদ, এতই রত্নরাজি যে তার আড়ালে থেকে যায় বেশ কিছু গান। কিশোরকুমারের সেই সব স্বল্প চেনা গান কোনও গুপ্তধনের থেকে কম নয়। সেই সব বিরল গান একত্র করে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সেন্টারস্টেজ। ২০ ডিসেম্বর উত্তম মঞ্চে, সন্ধে ছটা থেকে। গানগুলি শোনাবেন অমিত গঙ্গোপাধ্যায়, সৃজিৎ চক্রবর্তী এবং ইন্ডিয়ান আইডল খ্যাত রাহুল দেব। বিভিন্ন সময়ে অমর সঙ্গীত পরিচালকদের সুরে কণ্ঠ দিয়েছিলেন কিশোর। অনেকগুলিরই স্রষ্টা রাহুল দেব বর্মণ। ফলে গানগুলির রেকর্ডিঙের কাহিনিও বিচিত্র, রঙিন। সেই সব গল্প শোনাবেন রেডিয়ো জকি অরবিন্দ। এই শো-তেই শুরু হবে ‘লেজেন্ডস মাস্টার সিরিজ়’। প্রতি বছর চারটি অনুষ্ঠান, উদ্দেশ্য ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তিদের স্মরণ।
ভাস্কর প্রয়াত
ময়মনসিংহের জামালপুরে ভাস্কর মানিক তালুকদারের জন্ম ১৯৪৪ সালে। পঞ্চাশের দশকের প্রথম দিকে তাঁর পরিবার চলে আসে কলকাতায়। তাঁর বয়সি ছোটরা যখন মাঠে, মানিক সে সময় মগ্ন কাঠ কেটে মূর্তি নির্মাণে। অতঃপর ১৯৬০ সালে তিনি ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজে ভর্তি হন। সে সময়ে তিনি পেয়েছিলেন শর্বরী রায়চৌধুরী এবং বিপিন গোস্বামীর মতো শিক্ষককে। তৃতীয় বর্ষে এসে তিনি ভাস্কর্যকে বেছে নেন। ১৯৬৫-তে প্রথম বিভাগে প্রথম হয়ে পাশ করেন তিনি। ক্যানভাস আর্টিস্টস সার্কলের তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। পরে শ্যামল দত্তরায়ের আহ্বানে যোগ দেন সোসাইটি অব কনটেম্পোরারি আর্টিস্টস-এ। নিজের কাজের জন্য পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ও সম্মান। মিশরীয় শিল্পকলা ওঁকে আকৃষ্ট করত বলেই ২০০০ সালে বকুলবাগানে সেই রীতিতে দুর্গাপ্রতিমা নির্মাণ করেন। পনেরো বছর শিক্ষকতা করবার পর ভাস্কর্য বিভাগের প্রধান হিসেবে রবীন্দ্রভারতী থেকে অবসর নেন ২০০২ সালে। তার পরেও নিরলস ভাবে শিখিয়েছেন এবং কাজ করেছেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল মডেল তৈরির ক্ষেত্রে, যেখানে তিনি এক বিশেষ ধারার সূচনা করেছিলেন। গত ৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে লোকান্তরিত হন তিনি। আজ বেলা ২টোয় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মরকতকুঞ্জ প্রাঙ্গণের চিত্রভবনে প্রয়াত ভাস্করকে নিয়ে আয়োজিত হয়েছে একটি স্মরণসভা।
খাদ্য-পদ্য
চিন দেশের নুডলস কী ভাবে কলকাতায় এসে চাউ হয়ে গেল সে এক বিষম ভাবার বিষয়’, বলছিলেন লেখিকা সোমঋতা উর্ণি গঙ্গোপাধ্যায়, ‘এখন তো আবার এর সঙ্গে পটল বা আলুকুচিও যোগ হচ্ছে। নুডলসের বাংলা ভার্সন আর কী!’ কলকাতায় থাকার সময়েই বাড়িতে খাবার নিয়ে বেশ চর্চা হত। ‘এই শহরের স্ট্রিট-ফুড কী যে আকর্ষণীয়, কিন্তু হলে কী হবে! বাবার কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল। অথচ যা নিষিদ্ধ তাতেই তো মজা বেশি।’ তার পর তো শিক্ষার জন্য শহর থেকে দূরে। এখন তিনি জেএনইউ থেকে পিএইচ ডি করছেন। ওদিকে, ফুলব্রাইট ফেলো হিসেবে রয়েছেন রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে। শিক্ষাদান করছেন ব্রিটিশ সাহিত্য নিয়ে। সঙ্গে চলছে বাংলা-হিন্দি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদের কাজ। ইতিমধ্যেই ওঁর সাহিত্যকর্ম স্বীকৃতি পেয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে। অনুবাদের কাজে স্কটল্যান্ডে আমন্ত্রণ পান ২০১৭-য়। লন্ডন বইমেলায় স্থান পেয়েছে ওঁর কাজ। নানা প্রকাশনা থেকে বেরিয়েছে ওঁর লেখা। পেয়েছেন জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল ফান্ড অ্যাওয়ার্ড (২০১৩) এবং সরোজিনী দত্ত স্মারক সম্মান (২০১১)। সম্প্রতি তিনি শেষ করেছেন পূর্ণেন্দু পত্রীর ‘মহাভারত’ এবং দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাজ নিয়ে ‘ফায়ারসঙ্গস’। বেশ কিছু দিন আগে ঘানার এক কবি বলেছিলেন, ‘খাবার নিয়ে তোমার লেখা তো বেশ সুস্বাদু।’ তখনই ভাবনায় এসেছিল তবে শুধু খাদ্য নিয়েই একটা কবিতার বই নয় কেন! সম্প্রতি প্রকাশ পেল ‘কুইসাডিলা অ্যান্ড আদার অ্যাডভেঞ্চার্স’ (হাওয়াকল প্রকাশনী) শীর্ষক ৬০টি কবিতার সঙ্কলন। এখানে স্থান পেয়েছে ঘানা, আইসল্যান্ড, ভারত, নাইজেরিয়া, স্পেন, আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং মধ্যপ্রাচ্যের কবিদের ‘সুস্বাদু’ কবিতা। সম্প্রতি তিনি ঘুরে গেলেন নিজের প্রিয় শহরে, এসেছিলেন ইথস সাহিত্য উৎসবে যোগ দিতে।
পুরনো রেকর্ড কভার যেন চিত্রিত ক্যানভাস
দমদম চিত্রকরের এ বারের বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনীর ভাবনা চিন্তা রেকর্ড কভার নিয়ে। রেকর্ডের কভারে বাঙালি জীবনের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে নানা ভাবে ও নানা রঙে। এই চর্চার সঙ্গে শুধু বাঙালি নয় বলতে গেলে প্রায় গোটা ভারতবর্ষ পরিচিত হয়েছিল সেই ১৯০২ সাল থেকে। ওই বছরেই প্রথম কলকাতায় গ্রামোফোন কোম্পানি এ দেশের গায়ক গায়িকাদের সঙ্গীত যন্ত্র বন্দি করা শুরু করে। শশিমুখী-র গান দিয়ে শুরু হয় কোম্পানির রেকর্ডিং যাত্রা। ঠিক সাত দিন পর গহরজান রেকর্ডে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। নানা রকম পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এক দিকে যেমন আসে উন্নত প্রযুক্তি, যেমন বদল ঘটে রেকর্ডের মাপের এবং চেহারার, তেমনই শুরু হয় তাকে একটি সুন্দর মোড়কে উপস্থাপন করা। কোথাও গায়ক গায়িকার ছবি, কোনও কভারে হাতে আঁকা ছবির নানা বৈভব। গোড়ার দিকে ছিল সাদা কালো। কিন্তু তেত্রিশ গতির এল পি ও পঁয়তাল্লিশ গতির ই পি আসার সময় দেখা গেল কভার যেন চিত্রিত ক্যানভাস। পরিতোষ সেন, ও সি গঙ্গোপাধ্যায়, বিমল মজুমদার, অমর পাল কে না আঁকলেন রেকর্ডের কভার। একবার লতা মঙ্গেশকরের একটি মীরার ভজনের রেকর্ড কভার করেছিলেন ঊষা মঙ্গেশকর নিজে। দমদম চিত্রকরের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা সেই সব রেকর্ডের প্রতিচিত্র (সঙ্গে তারই একটি) নির্মাণ করেছে সঙ্গীতের স্বর্ণযুগকে স্মরণ করতে। যে সময় তারা এই কাজ করছে তখন হাতে আঁকা বিজ্ঞাপনের যুগ শেষ, রেকর্ড নির্মাণের যুগ শেষ আর সেই সব গায়ক গায়িকাদের অনেকেই আজ নেই আর বাকি জনেরা অস্তমিত। এই প্রদর্শনীতে যুক্ত হবে অনেকগুলি মূল রেকর্ড কভারও। প্রদর্শনীর ভাবনা দমদম চিত্রকরের তরফে শিল্পী শৈবাল দাস এবং দেবারতি দত্ত-র। প্রদর্শনী উপস্থাপনায় সহযোগী দেবদত্ত গুপ্ত। ২১-২৩ ডিসেম্বর (৪-৯টা), চিত্রকর স্কুল প্রাঙ্গণ, ১৪/৬ দমদম রোড, কলকাতা ৭৪।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy