বাবা ঠাকুরদাসের হাত ধরে গোলদিঘির সংস্কৃত কলেজে পড়তে এসেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের শিক্ষা ও কর্মজীবনের সাক্ষী এই শহর। সংস্কৃত কলেজ, ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ, মেট্রোপলিটান ইন্সটিটিউশন, ওয়ার্ডস ইন্সটিটিউশন, বেথুন কলেজে শিক্ষক বা শিক্ষা-প্রশাসক রূপে তাঁর স্মৃতি জড়িয়ে। এই শহরে সব মিলিয়ে তাঁর দশটি বাসস্থানেরও সন্ধান পাওয়া যায়। বাদুড়বাগানে তাঁর নিজস্ব বাড়িটির কথা সর্বজনবিদিত, রাধারমণ মিত্র কলকাতায় বিদ্যাসাগর গ্রন্থে আরও ন’টি ভাড়া বাড়ির কথা বলেছেন। মূলত তাঁর গ্রন্থাগার রক্ষার তাগিদেই অবসরজীবনে বৃন্দাবন বসাক লেনে (বর্তমান রাস্তা তাঁরই নামাঙ্কিত) বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণের পর পুত্র নারায়ণের ঔদাসীন্যে বাড়ি ও গ্রন্থাগার বেহাত হওয়ার উপক্রম হয়, পরে তার পুনরুদ্ধার হয়েছে। তাঁর গ্রন্থ-সংগ্রহের একাংশ এখন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে, অল্প কিছু আছে বিদ্যাসাগর কলেজে।
উত্তর কলকাতার কলেজ স্কোয়ার, বৌবাজার, মানিকতলা, হেদুয়া, জোড়াসাঁকো, মেছুয়াবাজার, কাশীপুর ছাড়াও শঙ্কর ঘোষ লেন, আমহার্স্ট স্ট্রিট তাঁর কর্ম-সক্রিয়তার সাক্ষী। বিশেষ উল্লেখ্য সুকিয়া স্ট্রিট অঞ্চল। বিদ্যাসাগরের বইয়ের দোকান ‘দি ক্যালকাটা লাইব্রেরি’, এক কালে তাঁর মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশনের কলেজ বিভাগ ছিল সাবেক এই রাস্তার ধারে (এখন কৈলাস বোস স্ট্রিট)। স্মরণীয় ঘটনা তৎকালীন ১২ নম্বর সুকিয়া স্ট্রিটে রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রথম বিধবা-বিবাহের আয়োজন। বেলগাছিয়া নাট্যশালা, সিঁদুরিয়াপট্টিতে রামগোপাল মল্লিকের বাড়িতে মেট্রোপলিটান থিয়েটার (যেখানে উমেশচন্দ্র মিত্র রচিত বিধবা-বিবাহ নাটকটি অভিনীত হয়), পাথুরিয়াঘাটা বঙ্গ-নাট্যশালার মতো কলকাতার রঙ্গমঞ্চে তাঁর পা পড়েছে। কলকাতা তাঁর আলোকচিত্র গ্রহণেরও সাক্ষী, ১৮৮০-র দশকে চৌরঙ্গীর বোর্ন অ্যান্ড শেফার্ড কোম্পানির দোকানে তাঁর সর্বজনপরিচিত দু’টি ফটো তোলা হয়।
বিদ্যাসাগরের স্মৃতিরক্ষায় কলকাতা উদ্যোগী হবে, আশ্চর্য কী। ১৮৯১-এর ২৭ অগস্ট শহরের গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে বিদ্যাসাগরের স্মৃতিরক্ষার প্রস্তাব নেওয়া হয়। জয়পুর থেকে আনা শ্বেতপাথরে নির্মিত হয় শাল গায়ে জোড়াসনে উপবিষ্ট বিদ্যাসাগরের মূর্তি (ছবিতে), শিল্পী দুর্গা মিস্ত্রি। ১৮৯৯-এর ২৮ মার্চ সংস্কৃত কলেজে মূর্তিটির আবরণ উন্মোচন হয়, পরে তা স্থাপিত হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের মূল প্রবেশপথের বিপরীতে। সংস্কৃত কলেজে ঠাঁই পায় এই মূর্তির আদলে ইটালীয় ভাস্কর এভাঞ্জেলিনো বইস-এর তৈরি আর একটি মূর্তি। সত্তরের দশকে মূর্তি ভাঙার উন্মাদনায় দু’টি মূর্তিই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিল্পী সিদ্ধেশ্বর পালের সৌজন্যে কলেজ স্কোয়ারের মূর্তিটির পুনরুদ্ধার হলেও, বইস-এর তৈরি মূর্তিটি বাঁচানো যায়নি। সে জায়গায় এখন প্রমোদগোপাল চট্টোপাধ্যায় নির্মিত মূর্তি। কালীঘাট রোডে কৃষ্ণমোহন মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, মেট্রোপলিটান বৌবাজার শাখা ছাড়াও অন্যত্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি রয়েছে। রয়েছে একাধিক তৈলচিত্র। সংস্কৃত কলেজে একাধিক তৈলচিত্রের মধ্যে ফণীভূষণ সেনের আঁকা, বিদ্যাসাগর কলেজে হাডসনের আঁকা বহুল-প্রচলিত ছবি, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনেও একটি তৈলচিত্র আছে। তাঁর পুত্র নারায়ণ সাহিত্য পরিষদকে একটি তৈলচিত্র দান করেছিলেন, তবে বর্তমানে সেটি দুষ্প্রাপ্য। তাঁর নামাঙ্কিত সেতুও এ শহরে বিদ্যাসাগরের স্মৃতি জাগিয়ে রেখেছে। তাঁর জন্মদ্বিশতবর্ষে কলকাতাবাসীর বিদ্যাসাগর-স্মৃতিরক্ষার দায়িত্ব পালনের দায়িত্বও কম নয়।
তারেই বলি
১৯ সেপ্টেম্বর জন্মদিন ছিল সুচিত্রা মিত্রের (১৯২৪-২০১১), দিনভর তাঁর স্মরণে জেগে রইল গানের প্রদীপ। এ এক অচিন মানুষ, যিনি বাঙালির সঙ্গীতসত্তায় গেঁথে দেন ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি’, আবার কলকাতার রাজপথে সলিল চৌধুরীর কথায়-সুরে গেয়ে ওঠেন ‘হয়তো তাকেই কৃষ্ণকলি বলে...’ এই সুচিত্রা শান্তিনিকেতনে ইন্দিরা দেবী-শান্তিদেব-শৈলজারঞ্জনের ছাত্রী, কলকাতায় গণনাট্য সঙ্ঘ ও বামপন্থী সংস্কৃতি-আবহে জারিত, রুচি-সৌন্দর্য-আভিজাত্য ও রবীন্দ্রমগ্নতার মিশেলে এক স্বনির্মিত ব্যক্তিত্ব। তাঁর জন্মদিনে ‘পূরবী’ সাংস্কৃতিক সংস্থার আয়োজনে হয়ে গেল ‘সুচিত্রা সেন উৎসব ২০২০’। ‘স্মৃতিপটে লিখা’ উদ্যোগে শিল্পীর স্মৃতিচারণ করলেন বিশিষ্টজন, হল গানও। এই দিনেই চলে গেলেন সুচিত্রার ছাত্রী, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী পূর্বা দাম, সেই বেদনছায়া জড়িয়ে রইল সবাইকে।
ভাল থাকার চাবি
অতিমারিতে মনোবল বাড়ানোর বহু উদ্যোগ চোখে পড়ছে, মানসিক শক্তির খোঁজ মিলছে অধ্যাত্মবাদে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট, জৈন, ইসলাম— সব ধর্মেই শরীর-মনের যুগলবন্দিতে সার্বিক ভাল থাকার বার্তার ঐকমত্য নিয়ে কলকাতা সোসাইটি ফর এশিয়ান স্টাডিজ় এবং ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে আজ থেকে শুরু তিন দিনের আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার ‘স্পিরিচুয়াল ওয়েলবিয়িং অ্যান্ড স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: রিলিজিয়ো-সাইকোলজিক্যাল পারস্পেকটিভ’। থাকবেন কলকাতা, জবলপুর, স্টকহলমের ধর্মবেত্তা, মনোবিদরাও। চেন্নাই রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী মহামেধানন্দ বলবেন বিবেকানন্দের দেখানো পথে ভাল থাকা বিষয়ে। কথা হবে বৌদ্ধ, খ্রিস্ট ও জৈন অধ্যাত্মবাদে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে। উইলিয়াম ব্লেকের কবিতা থেকে শুরু করে গীতায় কী ভাবে সঙ্কট মুক্তির কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে বলবেন অক্সফোর্ড সেন্টার ফর হিন্দু স্টাডিজ়-এর কেনেথ আর ভালপে।
মানববিদ্যার পথ
অতিমারি বাধ্য করছে আধুনিকতার ঝুঁকিহীন নিশ্চয়তাকে প্রশ্ন করতে। মানববিদ্যা চর্চার পরিসরে উঠছে সে সব প্রশ্ন, তার উত্তরেই হয়তো নিহিত শুশ্রূষা। এই সব কথা উঠে এল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ‘প্ল্যানেটারি ক্রাইসিস অ্যান্ড দ্য হিউম্যানিটিজ়’ শীর্ষক সাম্প্রতিক ওয়েবিনারে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ফ্রান্সেস্কা ফেরান্দো বললেন ‘পোস্টহিউম্যান’ দর্শনের কথা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্যমন্তক দাস কোভিড-আবহে গণতন্ত্রের পরিবর্তিত রূপ ও তার সঙ্কটমুক্তির পন্থা বিশ্লেষণ করলেন। অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা, লেখিকা সুমনা রায় বললেন ‘উদ্ভিদ-দর্শন’ নিয়ে। রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র, থেকে বিভূতিভূষণে পাওয়া যায় ধীর, সংবেদী এক বোধ যা আসলে বৃক্ষজীবনেরই সারাৎসার। আমেরিকার আইডাহো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্কট স্লোভিক দিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞান ও মানববিদ্যার যোগে ‘মেডিক্যাল হিউম্যানিটিজ়’-এর দিশা, ইজরায়েলের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ালেৎ বেন-ইশাই ভারত এবং ইজরায়েল-প্যালেস্টাইনের প্রেক্ষিতে বোঝালেন সঙ্কটকালের জটিল মাত্রা।
একতারা দোতারা
তাঁর কণ্ঠে বাউল গান উত্তীর্ণ হয় ইন্দ্রিয়াতীত এক বোধের অভিজ্ঞতায়। বাংলার বাউল গান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন পার্বতী বাউল। ছ’জন বিশিষ্ট বাউল শিল্পীকে নিয়ে ১৮-২৪ সেপ্টেম্বর সপ্তাহব্যাপী ‘অনলাইন বাউল মেলা’র উদ্যোগ করেছেন পার্বতী। এরই মধ্যে সেখানে গান গেয়েছেন, সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন— লক্ষ্মণ দাস বাউল, আনন্দ গোপাল দাস বাউল, শ্যাম দাস ও গোবিন্দ দাস বাউল। আজ বিকেল সাড়ে ৪টেয় কানাই দাস বাউল ও আগামীকাল দেব দাস বাউলের কণ্ঠে প্রেম-ভক্তি-রসের আস্বাদন করবেন শ্রোতারা। ২৩ তারিখ গাইবেন পার্বতী নিজে, ২৪ তারিখে সকলে মিলে। মেলা চলছে ‘বাউলমেলা অনলাইন’ নামের নির্দিষ্ট ফেসবুক পেজে।
সুরের আমির
ইনদওর ঘরানার প্রাণপুরুষ উস্তাদ আমির খাঁ সাহেব বদলে দিয়েছিলেন হিন্দুস্তানি মার্গসঙ্গীতের ধারা। তাঁর প্রিয় সাধনমন্দির ছিল কলকাতা। আগরা ঘরানার শিল্পী পণ্ডিত বিজয় কিচলু আজও উস্তাদজির স্মৃতিতে বুঁদ। ১৬ সেপ্টেম্বর ৯০-এ পড়লেন পণ্ডিতজি, সে দিনই ওয়েব-যাত্রা শুরু করল তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘সঙ্গীত আশ্রম’। এই বিশেষ দিনের অনুষ্ঠান পণ্ডিতজি উৎসর্গ করলেন উস্তাদ আমির খাঁকেই, শোনালেন উস্তাদজির সঙ্গে তাঁর সঙ্গীতালাপের কথা। উস্তাদজির কয়েকটি বন্দিশ ও তারানা গেয়ে শোনালেন সুপ্রিয় দত্ত। বিলাসখানি টোড়ি, মালকোষ, যোগ, দরবারি কানাড়া রাগগুলি পরিবেশনের ফাঁকে ফাঁকে সংশ্লিষ্ট সৃষ্টির পিছনে উস্তাদজির ভাবনা ও প্রেরণার নান্দনিক বিশ্লেষণ করলেন মীনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন উস্তাদজির পুত্র, অভিনেতা শাহবাজ় খানও। সঞ্চালনায় ছিলেন সঙ্গীত আশ্রমের সচিব ভাস্কর মিত্র।
সঙ্কট ও শিল্প
সঙ্কটে কেমন করে বাঁচে ধ্রুপদী শিল্প? কাকে বলে ‘হেরিটেজ আর্ট’, কোভিড-পরিস্থিতিতে কেমন হবে তার বিপণন কৌশল ও বাজার— প্রশ্নগুলো ভাবাচ্ছে শিল্পীদের। তারই উত্তর খুঁজতে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও বাংলানাটক ডট কম-এর অনলাইন আলোচনাসভা— ‘ট্রাডিশনাল আর্ট ইন কনটেম্পোরারি টাইমস’ হয়ে গেল সম্প্রতি। একত্র হয়েছিল কলকাতা থেকে মেদিনীপুর, বেঙ্গালুরু, আবার ইংল্যান্ড, কানাডা, ফ্রান্স, কলম্বিয়াও। মেদিনীপুরের নয়া গ্রামের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী শিল্পী আনোয়ার চিত্রকর পটচিত্রে তুলে ধরেছেন ‘নিউ নর্মাল’ যাপনকে (ছবিতে তারই একটি)। বেঙ্গালুরুর শিল্প-ইতিহাসবিদ সুরেশ জয়রাম দিলেন সঙ্কটেও ট্রাডিশনাল আর্টকে এগিয়ে দেওয়ার পথনির্দেশ। কলম্বিয়ার প্যাট্রিসিয়া নাভাস রথলিসবার্গার শোনালেন, কী উপায়ে তাঁদের দেশজ শিল্প বিশ্বে ঠাঁই করে নিচ্ছে। ইংল্যান্ডের হ্যারিয়েট ডিকন জানালেন, ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি পোষিত ‘হেরিটেজ-সেনসিটিভ ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি’ সংক্রান্ত এক প্রকল্পে কাজ হচ্ছে বাংলার ছৌ ও পটচিত্র নিয়ে। অনুষ্ঠানের সূচনায় ছিলেন বাংলানাটক-এর ডিরেক্টর অনন্যা ভট্টাচার্য, এগিয়ে নিয়ে গেলেন কিউরেটর ও লোকশিল্পবিদ নন্দিতা পালচৌধুরী।
অভিনব
এক ঝাঁক অল্পবয়সি ছেলেমেয়ে এই সে দিনও রিষড়া থেকে লোকাল ট্রেনে হাওড়া আসতেন, অভিনয় করতেন তৃপ্তি মিত্র সভাগৃহে। আনলক-পর্বেও মঞ্চে তালা, তা বলে নাট্যচর্চা তো বন্ধ হতে পারে না। কলকাতা-সহ দেশের নাট্যজগতের বিশিষ্টজনদের নিয়ে ‘অনলাইন থিয়েটার টিউটোরিয়াল’ করছে তরুণ নাট্যদল ‘রিষড়া দূরায়ন’। গৌতম হালদার, চন্দন সেন, তীর্থঙ্কর চন্দ, আশিস দাস, দেবাশিস রায়, শান্তনু বসু, চন্দ্র দাসান-এর মতো নাটকবেত্তারা সেখানে বলেছেন বাংলা, ভারতীয় ও বিশ্ব থিয়েটারের ইতিহাস, প্রকরণ, রাজনীতি, সংস্কৃতি নিয়ে। স্তানিস্লাভস্কি, ব্রেশট থেকে রবীন্দ্রনাথ, ধ্রুপদী নাট্য ও কেরলের লোকনাট্য, ইন্টিমেট ও স্পেস থিয়েটার, অভিনয়ে শরীর কণ্ঠ আবেগের ব্যবহার— বিষয়ভাবনা অভিনব। গতকাল, ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধেয় বললেন মণীশ মিত্র, ‘থিয়েটারে সঙ্গীত, থিয়েটার ও সঙ্গীত’ নিয়ে। ভবিষ্যতের ডকুমেন্টেশনের জন্যও তরুণ নাট্যকর্মীদের এ অতি জরুরি উদ্যোগ। সব অনুষ্ঠানই দেখা যাবে রিষড়া দূরায়ন-এর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।
এক ও অনেক
বহু জনের বিশ্বাস, মানুষটার নামই ‘বিদ্যাসাগর’। অন্তত পদবি তো বটেই। ও যে একটা উপাধি, ঈশ্বরচন্দ্রকে অর্জন করতে হয়েছিল, বোঝাবে কে! এও জেনে রাখার, বঙ্গ-ইতিহাসে আছেন বহু বিদ্যাসাগর। তারানাথ তর্কবাচস্পতির পুত্র জীবানন্দ বিদ্যাসাগর ১০৭টি সংস্কৃত গ্রন্থের টীকাকার। রংপুরের নীলকমল বিদ্যাসাগর লিখেছেন ‘কালার্চন চন্দ্রিকা’, যশোরের রাজীবলোচন বিদ্যাসাগর বহুশাস্ত্রবিদ। সংস্কৃত কলেজের শিক্ষক প্রাণকৃষ্ণ বিদ্যাসাগরের রচনা ‘কুলরহস্য’, ‘শ্রীশ্রীঅন্নপূর্ণাশতকং’। শিবনাথ শাস্ত্রীর বাবা হরানন্দ বিদ্যাসাগর যুক্ত ছিলেন সামাজিক কাজেও। আছেন কাব্য ব্যাকরণ ন্যায় বেদান্ততীর্থ হরিহর বিদ্যাসাগর, কাব্য ব্যাকরণ পুরাণতীর্থ শশিশেখর বিদ্যাসাগরও। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দুশো বছরে এই বিস্মৃত বিদ্যাসাগরদের নিয়েও চর্চা হোক না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy