ছবি পিটিআই।
অতিমারি পরিস্থিতির কারণে এখনই আয়োজিত হচ্ছে না ৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবেই এই মেলার আয়োজন করা হবে। মঙ্গলবার বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবারের বৈঠকে সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে এখনই বইমেলা করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতির উন্নতি হলে তবেই মেলার আয়োজন করা হবে।’’
প্রতি বছরের মতো এ বছরে বইমেলা যে স্বাভাবিক সময়ে করা সম্ভব হবে না, তা আগেই জানিয়েছিলেন গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বইমেলা ছোট করে করা কার্যত সম্ভব নয়। এটা মাথায় রেখে এখনই এর আয়োজন না করে বরং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বইমেলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
সুধাংশুবাবু জানান, অতিমারি পরিস্থিতিতে দেশ-বিদেশের প্রায় সমস্ত বইমেলাই পিছিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অতিমারির কারণে অনলাইনে আয়োজিত হয়েছে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলা। প্যারিস বইমেলা এবং লন্ডন বইমেলা পিছিয়ে গিয়েছে। পিছিয়েছে দিল্লি বইমেলাও। বিদেশের সব জায়গা থেকে উড়ানও এখন চলছে না। তাই কলকাতা বইমেলায় বিদেশি অতিথিরা আসবেন কী ভাবে? এ বারের বইমেলার ‘থিম কান্ট্রি’ বাংলাদেশের অতিথিদেরও এই পরিস্থিতিতে আসা সম্ভব নয়।’’
তবে সুধাংশুবাবু এবং ত্রিদিববাবু দু’জনেই জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশ-বিদেশের সব অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়েই বইমেলা করা হবে। সে ক্ষেত্রে দু’মাস আগে থেকে বিদেশি অতিথিদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
সুধাংশুবাবু জানান, কোভিডের কারণে সল্টলেকে করুণাময়ী মোড়ের কাছে স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণে বিধাননগর মেলা এ বছরে হচ্ছে না। ওই মাঠেই গত কয়েক বছর ধরে বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছিল। গিল্ড সমীক্ষা করে দেখেছে, এই পরিস্থিতিতে বইমেলাকে কেন্দ্র করে বিধাননগরে লক্ষাধিক মানুষ ভিড় করুন, এমনটা চাইছেন না স্থানীয় বাসিন্দারাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy