প্রতীকী ছবি।
ইএম বাইপাসের মেট্রোপলিটনের কাছে রাস্তার উপরে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর স্তম্ভ বসানো নিয়ে জটিলতা রয়েছে। সেই জট কাটাতে মেট্রোপলিটনে বাইপাসের নীচ দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের মতো সাবওয়ে তৈরির প্রস্তাব দিল কেএমডিএ। সূত্রের খবর, একই সঙ্গে মেট্রোপলিটনের কাছে বাইপাসের পশ্চিম দিকে সার্ভিস রোড তৈরি করার জন্যও বলা হয়েছে মেট্রো নির্মাণের দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডকে (আরভিএনএল)। ওই দুই বিকল্প রাস্তা তৈরি হলে মেট্রোপলিটনের ভিতর থেকে আসা গাড়িগুলি বাইপাসের দু’দিকে বিনা বাধায় যেতে পারবে। মেট্রোর কাজের জন্য রাস্তার উপরে স্তম্ভ তৈরি হলেও অসুবিধা হবে না। এর পাশাপাশি পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটব্রিজ তৈরির প্রস্তাবও জমা পড়েছে। মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন এবং চিংড়িঘাটার ওই এলাকা ঘুরে দেখেন রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব সুব্রত গুপ্ত এবং কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আইআইটি খড়্গপুর, আরভিএনএল এবং পুলিশের আধিকারিকেরা।
কোন বিষয়টি ঘিরে অনিশ্চয়তা?
প্রশাসন সূত্রের খবর, মেট্রোপলিটনের কাছে বাইপাসের পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে যাওয়ার কথা নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর। এর জন্য ইএম বাইপাস এবং মেট্রোপলিটনের মোড়ে মূল রাস্তার উপরে স্তম্ভ তৈরির কথা ছিল। প্রস্তাবিত মেট্রোর নকশা অনুযায়ী, ওই মোড়ে স্তম্ভ তৈরি হলে মেট্রোপলিটনের দিক থেকে আসা গাড়িগুলি সরাসরি ইএম বাইপাসে উঠতে বাধা পাবে। ফলে বাইপাস আটকে ওই কাজ শুরু হলে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা করেছিল পুলিশ। সে কথা ভেবেই কেএমডিএ এবং পুলিশের তরফে মেট্রোকে ওই স্তম্ভ নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, প্রথমে ওই নকশা বদলের জন্য বলা হয়েছিলে মেট্রো নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল-কে। কিন্তু বাইপাসের দু’দিকে তার আগেই মেট্রোর স্তম্ভ তৈরি হয়ে যাওয়ায় নকশা বদলের সম্ভাবনা খারিজ হয়ে যায়।
সূত্রের দাবি, এর পরেই জট খোলার জন্য কেএমডিএ-র তরফে আইআইটি খড়্গপুরকে নিয়োগ করা হয়। ওই সমীক্ষক সংস্থার তরফে কেএমডিএ-কে সাবওয়ে তৈরির জন্য বলা হয়। আরও বলা হয়, মেট্রোপলিটন থেকে সায়েন্স সিটিমুখী গাড়িগুলি ওই সাবওয়ে ধরে গিয়ে প্রস্তাবিত বেলেঘাটা মেট্রো স্টেশনের কাছে উঠবে। আবার যে সব গাড়ি চিংড়িঘাটা থেকে মেট্রোপলিটনের ভিতরে ঢুকবে, তারাও ওই সাবওয়ে ব্যবহার করতে পারবে। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত বেলেঘাটা মেট্রো স্টেশন থেকে একটি ফুটব্রিজ তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যা ওই মেট্রো স্টেশনকে যোগ করবে এক দিকে মিলন মেলা, অন্য দিকে মেট্রোপলিটনের সঙ্গে। এ ছাড়া ময়লা খালের পরে একটি ধাবা সংলগ্ন এলাকা থেকে চিংড়িঘাটা পর্যন্ত সার্ভিস রোড করার প্রস্তাবও রয়েছে। যাতে মেট্রোপলিটন থেকে উল্টোডাঙার দিকে আসা গাড়ি ওই সার্ভিস রোড ধরে এসে বাইপাসে পড়তে পারে।
প্রশাসনের এক কর্তা জানান, রাজ্যের তরফে এই প্রস্তাব আরভিএনএল-কে জানানো হয়েছে। সাবওয়ে, ফুটব্রিজ এবং সার্ভিস রোড তারাই তৈরি করে দেবে। সেই কাজ শেষ হলেই স্তম্ভ তৈরির কাজ শুরু হবে বলে সূত্রের খবর।
লালবাজার জানিয়েছে, মেট্রোপলিটনের যেখানে ওই স্তম্ভ হওয়ার কথা, সেই জায়গায় রাস্তাটি মাত্র তিন লেনের। অভিযোগ, এর ফলে সেখানে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। স্তম্ভ তৈরির কাজ শুরু হলে যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা পুলিশকর্তাদের। তাই ময়লা খালের উপরে একটি সেতু তৈরি করা হচ্ছে। এ দিনের পরিদর্শনে পুলিশের তরফে বাইপাসের পূর্ব দিকেও সেতু তৈরির জন্য বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy