ফাইল চিত্র।
বছর ছয়েক আগে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের যে অংশ ভেঙে পড়েছিল, সেখানেই স্তম্ভের দু’পাশে লোহার ঠেকনা দেওয়া। যার জেরে ভারসাম্য বদলে চাপ পড়ছে বেয়ারিংয়ের উপরে। সেই কারণেই ওই উড়ালপুলের ভেঙে পড়া অংশের একটি স্তম্ভে ফাটল ধরেছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ার এবং উড়ালপুল বিশেষজ্ঞেরা বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে স্তম্ভটি পরিদর্শন করেন। স্তম্ভটির কম্পাঙ্ক পরীক্ষা করে তাঁরা দেখেন, কতটা ক্ষতিগ্রস্ত সেটি। এ দিন পরিদর্শন শেষ না হওয়ায় রিপোর্ট দেননি তাঁরা। তবে নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। নির্মাণ সংস্থার আধিকারিকেরা এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। উড়ালপুল খোলা নিয়ে এ দিনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রশ্ন উঠছে, মেরামতির পরে পাঁচ বছর আগে যে উড়ালপুল চালু হয়েছিল, তা সারানোয় কী ত্রুটি ছিল? সেতুর রক্ষণাবেক্ষণেই বা দায় কার? কেএমডিএ-র এক কর্তার দাবি, এই উড়ালপুলের ৩০ বছরের গ্যারান্টি রয়েছে। তার মধ্যে কিছু হলে নির্মাণকারী সংস্থার দায়। কিন্তু কেএমডিএ কি দায়িত্ব এড়াতে পারে? কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কেএমডিএ নির্মিত উড়ালপুলগুলি যাতে ভেঙে না পড়ে, সেই কারণেই বিশেষজ্ঞ দল সেতুর স্বাস্থ্য-পরীক্ষা করছে। কেএমডিএ-র যৌথ সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রাণবন্ধু নাগ বলেন, ‘‘কেএমডিএ-র তৈরি সেতুগুলির স্বাস্থ্য-পরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ফের স্মারকলিপি দেওয়া হবে।’’
রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘যে সংস্থা এই উড়ালপুল তৈরি করেছিল, তাদের কেএমডিএ-র তরফে চিঠি দিয়ে মূল নকশা জমা দিতে বলা হয়েছে।’’ কেএমডিএ-র কাছে নকশা নেই কেন? ওই আধিকারিক জানান, মূল নকশা অনেক বার চাওয়া হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy