ফাইল চিত্র।
পুনর্বাসনের জায়গা নেই। তাই জলাশয়ের ধার থেকে ‘জবরদখল’ সরানোও সম্ভব নয়। সেই কারণেই রুবি মোড়ের কাছে একটি জলাশয়ে বোটিং প্রকল্প বাতিল করল কেএমডিএ। ওই প্রকল্পের পরিবর্তে সেখানে আপাতত আর কোনও নতুন প্রকল্প হবে না বলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রুবির মোড়ে ওই জলাশয়ে বহু দিন আগে একটি বড় বোটিং কমপ্লেক্স করার পরিকল্পনা হয়েছিল। ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য দরপত্রও ডাকা হয়েছিল। একটি নির্মাণসংস্থা দরপত্র মেনে কাজ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ওই কাজ করা যায়নি।’’ যদিও কর্তৃপক্ষ জানান, বর্তমানে ই এম বাইপাসের ধারে ‘বেণুবনছায়া’ নামে একটি পার্ক করা হয়েছে। এমনকি, পাটুলিতে ভাসমান বাজার তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে এই এলাকায় এমন কোনও প্রকল্প লাভজনক হবে না।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, বামফ্রন্টের আমলে ওই জলাশয়ে একটি আধুনিক বোটিং কমপ্লেক্স করার পরিকল্পনা হয়েছিল। নৌকাবিহার ছাড়াও রেস্তরাঁ এবং অন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করার কথা ছিল। প্রকল্পটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল।
এক আধিকারিক জানান, এলাকা পরিদর্শন এবং প্রাথমিক সমীক্ষা করার পরে ওই নির্মাণকারী সংস্থা জানায়, জলাশয়ের ধারে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের ওই জায়গা থেকে সরাতে হবে। অভিযোগ, ওই এলাকার বাসিন্দারা পুনর্বাসনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু জায়গার অভাবে পুনর্বাসন দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে, নির্মাণকারী সংস্থাটি ওই প্রকল্প থেকে হাত গুটিয়ে নেয়।
তৃণমূল সরকারের আমলেও ওই জলাশয়ে নতুন প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা হয়। কিন্তু একই সমস্যার জেরে দ্বিতীয়বারও প্রকল্পের কাজ এগোয়নি। অন্য দিকে, ওই জলাশয়ের সংস্কার নিয়েও পরিবেশবিদদের একাংশ সরব হন। তাঁদের অভিযোগ, শহরের বুকে এত বড় জলাশয়ের সৌন্দর্যায়ন প্রয়োজন। জলাশয়ের দূষণ রুখতেও তাঁরা কলকাতা পুরসভার কাছে আবেদন করেন। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রকল্প না হলেও জলাশয়ের কোনও ক্ষতি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy