মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
আদি গঙ্গায় বান এলেই প্লাবিত হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের বড় অংশ। সেই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে এ বার নতুন বন্দোবস্ত করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। বুধবার পুরসভার মাসিক অধিবেশনে বিষয়টি খোলসা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, আগামী দু’বছরের মধ্যেই কালীঘাট, চেতলা এলাকায় আদিগঙ্গায় বানের সময় প্লাবনের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা আর থাকবে না।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘আর দু’বছর বাদে আদিগঙ্গায় আর ষাঁড়াষাঁড়ির বান আসবে না। কারণ আমরা একটি বরাদ্দ করেছি। যা দিয়ে একটি লকগেট তৈরি করা হবে। যখন এই ষাঁড়াষাঁড়ির বান আসবে, তখন এই লকগেট ফেলে দিলে প্লাবন আটকানো যাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এর ফলে আমরা বানের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’’ কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, নতুন এই লকগেটটি তৈরি হবে মেয়র ফিরহাদের বিধানসভা কেন্দ্র হেস্টিংসের কাছে দহিঘাটে। যেখান থেকে আদিগঙ্গার ষাঁড়াষাঁড়ির বানকে আটকানো হবে। সম্প্রতিক ষাঁড়াষাঁড়ির বানে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হয়। সঙ্গে জলমগ্ন হয়েছিল কলকাতা পুরসভার ৭৩, ৭৪, ৮২ এবং ৮৩ নম্বর ওয়ার্ড। দশকের পর দশক এই ষাঁড়াষাঁড়ির বানের সম্মুখীন ওই এলাকার মানুষ। তাই এই লকগেটটি চালু হয়ে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের ষাঁড়াষাঁড়ির বানের সমস্যা পুরোপুরি মিটে যাবে বলেই মনে করছেন পুর আধিকারিকেরা।
এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়ে মেয়র বলেন, ‘‘আদিগঙ্গার পারের দেখভাল করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। এই এলাকাগুলি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অধীন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এ ক্ষেত্রে উদাসীন। তাই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিক বার আবেদন জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই কলকাতা পুরসভা এই কাজের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, ষাঁড়াষাঁড়ির বানের ফলে প্লাবিত হয় মেয়র ফিরহাদের ৮২ নম্বর ওয়ার্ডও। লকগেট চালু হয়ে গেলে সমস্যা পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন মেয়র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy