—প্রতীকী ছবি।
শহরে পার্কিং ফি আদায়ের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক ভাবে চালু করেছে কলকাতা পুরসভা। জানুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে শহরে পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থাগুলির হাতে‘ই-পস’ মেশিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরসভা সূত্রের খবর, পার্কিং সংস্থাগুলিকে প্রায় ৫৫০টি মেশিন দেওয়া হলেও তার অধিকাংশই ব্যবহার করা হচ্ছে না। অভিযোগ, এখনও অনেক সংস্থা নগদেই পার্কিং ফি আদায় করছে। এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে পুর পার্কিং দফতরে। ই-পস মেশিনের ব্যবহার কেন হচ্ছে না, তা জানতে চেয়ে সোমবার বিভিন্ন পার্কিং সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র পারিষদ (পার্কিং) দেবাশিস কুমার।
পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে প্রায় ২০টি পার্কিং সংস্থার প্রতিনিধি গরহাজির ছিলেন। পুর পার্কিং দফতরের একশীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘বৈঠকে যারা ছিল না, তাদের শো-কজ করা হবে।’’ এখনও নগদে পার্কিং ফি নেওয়ায় অবৈধ ভাবে ফি আদায় হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন পুরআধিকারিকেরা। এ বিষয়ে বৈঠকে পার্কিং সংস্থার প্রতিনিধিদের সতর্ক করেন দেবাশিস। তাঁদের জানানো হয়, এমন চললে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
পার্কিং সংস্থার প্রতিনিধিরা জানান, ই-পস মেশিন এখনও পুরোপুরি কাজ করছে না। বেশির ভাগ সময়েসার্ভার ধীরে কাজ করায় অনলাইনে ফি দিতে গিয়ে অনেকে ধৈর্য হারাচ্ছেন। অনেকে অনলাইনে ফি জমা দিতেও স্বচ্ছন্দ নন। তাই বাধ্য হয়ে নগদে ফি আদায় করা হচ্ছে। ই-পস মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণেখামতির অভিযোগও করেছেন অনেকে। একটি পার্কিং সংস্থার কর্ণধার জগদীশ চৌধুরী বলেন, ‘‘মাস চারেক আগে ১৪১টি মেশিন দেওয়াহলেও ৯টি মেশিন কাজ করছে না। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্তসংস্থাকে একাধিক বার বলেও কাজ হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy