দুয়ারো সরকার প্রকল্প। — ফাইল চিত্র।
সরকারি প্রকল্পের জন্য কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন বিভাগ থেকে কর্মীদের একাংশকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন সেই ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের সময়সীমা ১ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করে দেওয়ায় আরও বেশি করে কর্মী-সঙ্কটে ভুগছে কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন বিভাগ। এর ফলে পুরসভার বিভিন্ন কাজ নানা ভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক সোমবার বলেন, ‘‘চলতি অর্থবর্ষের সময়সীমা সামনের মার্চ মাস। এ ক্ষেত্রে দুয়ারে সরকারের জন্য পুরসভার কর্মীদের দীর্ঘদিন ধরে কাজে লাগানোয় সমস্যা তো হবেই। বছরের শেষ সময়ে কর আদায়ে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পুরকর্মীদের একাংশকে দুয়ারে সরকারে কাজে লাগানোয় কর ও রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে পুরোদমে।’’
পুরসভার সোশ্যাল সেক্টর দফতর সূত্রের খবর, দুয়ারে সরকারের জন্য তুলে নেওয়া শিক্ষকদের একটি বড় অংশকে পুনরায় তাঁদের নিজ নিজ স্কুলে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর এই প্রকল্প শুরু হওয়ার সময়ে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষককে কাজে লাগানোয় স্কুলে পঠনপাঠন বিঘ্নিত হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে বেশির ভাগ শিক্ষককে স্কুলে ফেরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার সোশ্যাল সেক্টর বিভাগের এক পদস্থ আধিকারিক।
পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতায় ১ ডিসেম্বরের পরবর্তী সময়ে যে সমস্ত ওয়ার্ডে এই প্রকল্পের শিবির চলছে, সেখানে ভিড়অনেকটাই কম। তবে এই প্রকল্প শুরুর সময় থেকেই একের পর এক সমস্যা চলছে। পুর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, প্রতি মাসে পুরসভা থেকে গড়ে ৮০-১০০ জন করে কর্মী অবসর নিচ্ছেন। কিন্তু নতুন লোক নিয়োগ হচ্ছে না।
এই অবস্থায় দুয়ারে সরকার প্রকল্পের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, অ্যাসেসমেন্ট বিভাগ-সহ একাধিক পুর দফতর থেকে লোক তুলে নেওয়ায় কর্মী-সঙ্কটে ভুগছে বিভিন্ন দফতর। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষেরঅভিযোগ, ‘‘একেই পুরসভার লোকবল কম। তার উপরে বিভিন্ন বিভাগ থেকে কর্মী তুলে নিয়ে দুয়ারে সরকার চালানোয় পুরসভার কাজকর্মে প্রভাব পড়ছে। পুরসভার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা থেকে রাজস্ব আদায়— সব কাজেই বিঘ্ন ঘটছে। অবিলম্বে পুরকর্মীদের নিজ নিজ দফতরে কাজে ফেরানো হোক।’’
যদিও পুরসভার মেয়র পারিষদ (সোশ্যাল সেক্টর) মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকারের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে এখন বেশির ভাগ শিবিরে ভিড় খুব কম। তাই যেখানে কর্মী প্রয়োজন নেই, সেখান থেকে তাঁদের তুলে নিয়ে পুরসভার কাজে যোগ দিতে বলা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy