ভাবনা: বাজেকদমতলা ঘাটে গঙ্গারতির প্রস্তাবিত নকশা। ছবি: সংগৃহীত
বারাণসীর অনুকরণে কলকাতার ঘাটেও গঙ্গারতির ব্যবস্থা করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জন্য পরিদর্শনের পরে বেছে নেওয়া হয়েছিল বাজেকদমতলা ঘাটকে। ওই ঘাটে গঙ্গারতিররূপরেখা তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তিনটি সংস্থাকে। তাদের মধ্যে একটি নকশা অনুমোদন পেয়েছে। সেই সঙ্গে ঘাটে গঙ্গারতির ব্যবস্থাকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে শীঘ্রই বারাণসী যাবেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিংহ, পুর কমিশনার বিনোদ কুমার-সহ অন্য আধিকারিকেরা।
পুরসভা সূত্রের খবর, ওই বিশেষ দল বারাণসী থেকে ফিরে এলে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত রূপরেখা স্থির হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, গঙ্গার ঘাটে আরতির প্রাথমিক নকশা তৈরি করেছেন মেয়র পারিষদ তারকের ছেলে, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার অভিষেক সিংহ। তারক জানান, ওই স্কেচ অনুযায়ী ১২টি আসন বা বেদি থাকবে,যার উপরে প্রদীপ জ্বালিয়ে গঙ্গারতি করা হবে। গঙ্গা থেকে আরতি দেখার জন্য থাকবে বিশেষ নৌকার ব্যবস্থা। তারক জানান, বারাণসীর মতোই বেদির উপরে দাঁড়িয়ে চার দিকে ঘুরে ঘুরে আরতি করবেন পুরোহিতেরা। নদীতে নৌকার পাশাপাশি ঘাটে দাঁড়িয়ে বা চেয়ারে বসেও আরতি দেখার ব্যবস্থা থাকবে। সন্ধ্যার সময়ে বাজেকদমতলা ঘাটকে আরও আলোকিত করতে ত্রিমাত্রিক আলোকসজ্জার সঙ্গে লেজ়ার শোয়ের ব্যবস্থাও থাকছে। তারক বলেন, ‘‘বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটের আদলেই গঙ্গারতির ব্যবস্থা করতে চাই। এ জন্য কোনও রকম কার্পণ্য করতে চাই না। বাজেকদমতলা ঘাটে গঙ্গামূর্তি বসানো হবে। জয়পুরে ওই মূর্তির বায়না দেওয়া হয়েছে।’’ পুজোর সামগ্রী কেনার জন্য বাজেকদমতলা ঘাটে থাকবে স্টলও।
পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘‘গঙ্গারতির ব্যবস্থা করতে যাবতীয় আলোচনা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বারাণসীর আদলে গঙ্গারতির ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। তাই বারাণসীতে গিয়ে সেখানকার গঙ্গারতির ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা ভীষণ প্রয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy